পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর ভারতে ৪৫০টি ঘটনায় হাতির আক্রমণে মানুষ মারা যায় কিংবা আহত হয়। এরমধ্যে ২৫ শতাংশ ঘটনাই পশ্চিমবঙ্গে হয়। ভারতে এখন প্রায় ২৮ হাজার হাতি আছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গেই আছে প্রায় ৬০০টি হাতি। অন্যদিকে চা বাগানগুলিতে চিতাবাঘের আতঙ্ক বেশি। মাঝেমধ্যেই শ্রমিকরা চিতাবাঘের হামলা আক্রান্ত হচ্ছেন। কোনও কোনও সময়ে হাতি, চিতাবাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘাত হচ্ছে। এটা রুখতেই বনদপ্তর বিভিন্ন এলাকায় এমন আয়োজন করছে।
এদিন কর্মশালায় সিসিএফ (উত্তরবঙ্গ) দেবাংশু মল্লিক, কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও জে শেখ ফরিদ, এডিএফও চিন্ময় বর্মন, ওয়াল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার গবেষক দীপাঞ্জন নাহা, নকশালবাড়ি বিডিও বাপি ধর, খড়িবাড়ি বিডিও যোগেশচন্দ্র মণ্ডল সহ এসএসবি, পুলিস, বিভিন্ন চা বাগান কর্তৃপক্ষ ও পঞ্চায়েত সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের কর্মশালায় বিভিন্ন বাগান কর্তৃপক্ষ হাতির করিডরগুলি চিহ্নিত করে। তারা বনদপ্তরের কাছে বায়ো অরগানিক ফেন্সিং দেওয়ার আর্জি রাখে। তাদের দাবি, হাতির তাণ্ডব বাধ্য হয়ে তারা ব্লেড তারের ব্যবহার করছে। নকশালবাড়ি বিডিও বনবিভাগকে পর্যাপ্ত কর্মী নিয়োগ করার আর্জি রাখেন। খড়িবাড়ি বিডিও যোগেশবাবু বনবিভাগকে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে আলোকপাত করেন।
কার্শিয়াংয়ের ডিএফও বলেন, আমরা গ্রামে হাতি চলে আসা রুখতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে বিশেষ পদ্ধতিতে ফেন্সিং দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এর জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা দরকার। আমরা রাজ্য তার প্রস্তাব পাঠিয়েছি। বিদ্যুৎবাহী ওই তার মাটি থেকে নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত থাকবে। ফলে ওর নীচ দিয়ে মানুষ সহজেই চলাচল করতে পারবে।
মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় হাতি সহ বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা দিনকে দিন বাড়ছে। মাঝেমধ্যেই লোকালয়ে ঢুকছে হাতির দল। জমির ফসল তছনছ করার পাশাপাশি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করছে। বন্যপ্রাণীর হামলার শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। এই ধরনের ঘটনা রুখতেই উদ্যোগী হয়েছে বনদপ্তর। শুক্রবার সুকনায় এনিয়ে একটি কর্মশালা হয়। সেখানে মাটিগাড়ার বিডিও রুনু রায়, শিলিগুড়ি মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক দর্জি ডোলমা শেরপা, ভক্তিনগর থানার পুলিস সহ গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।