উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
ময়নাগুড়ির হাইওয়ে ট্রাফিক ওসি মোস্তফা হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে টোটো চালকদের বলা হচ্ছে জাতীয় সড়ক দিয়ে টোটো চালানো যাবে না। এর আগে ময়নাগুড়ি থানায় এব্যাপারে মিটিং হয়েছিল। এর পরেও জাতীয় সড়ক দিয়ে টোটো চলছে। জাতীয় সড়কে টোটোর চলাচল বন্ধ করতেই এদিন আমাদের এই অভিযান।
ময়নাগুড়ি ট্রাফিক ওসি মানিক দাস বলেন, ময়নাগুড়ি সদর এলাকার বেশ কিছু এলাকায় আমরা নো পার্কিং বোর্ড লাগিয়েছি। সেখানে পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে যে এখানে টোটো দাঁড়াবে না। এরপরেও কিছু টোটো চালক প্রায়ই নির্দেশিকা অমান্য করে সেসব জায়গায় টোটো দাঁড় করিয়ে রাখেন। এই কারণে এদিন আমাদের এই অভিযান। এছাড়াও হেলমেটবিহীন বাইক চালক বা একটি বাইকে তিন জন চলাচল করার বিরুদ্ধে আমাদের এই অভিযান।
এদিন ময়নাগুড়ি পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব গুলি টোটো আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এমন অভিযান লাগাতার চলবে বলে পুলিস প্রশাসন জানিয়েছে।
ময়নাগুড়ি বিডিও অফিস শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার যাওয়ার রাস্তার ধারে অবস্থিত। ওই এলাকা দিয়ে চারের বাড়ি, টেকাটুলি, ঝাঝাঙ্গি এলাকার টোটো গুলি দ্রুতগতিতে অতিরিক্ত পণ্য বা যাত্রী নিয়ে চলাচল করে। প্রায়শই দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। তার উপর টোটোগুলির কোনও বিমা করা হয় না। এদিন টোটো ধরপাকড়ের পর বেশ কিছু টোটোচালক যেমন গয়ানাথ মণ্ডল, পঙ্কজ মণ্ডলরা বলেন, আমরা জাতীয় সড়ক দিয়ে টোটো না চালালে ময়নাগুড়ির সদরে যাত্রী নিয়ে যাব কীভাবে? জাতীয় সড়কে যে টোটোর চলাচল করা বারণ, একথা আমরা জানি না।
এদিন অবশ্য হাইওয়ে ট্রাফিক ওসি মোস্তফা হোসেন টোটো চালকদের জাতীয় সড়ক ব্যবহার না করে গ্রামের রাস্তা দিয়ে চলাচল করার পরামর্শ দেন। এছাড়াও বিডিও অফিস মোড় এলাকার টোটো চালকদের জাতীয় সড়কে টোটো না চালানোর কথা বলেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরে ময়নাগুড়ি ব্লকের জাতীয় সড়ক দিয়ে দেদারে যাতায়াত করে টোটো। অথচ পুলিসের দাবি, কয়েক মাস আগেই টোটোচালকদের নিয়ে ময়নাগুড়ি থানায় এক বৈঠক হয়েছিলো। সেই বৈঠকে বলা হয়েছিলো, জাতীয় সড়ক দিয়ে টোটো চলাচল বন্ধ থাকবে। এর পরেও টোটো চালকেরা প্রশাসনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করেই জাতীয় সড়ক দিয়ে টোটো চালাচ্ছেন। এই টোটো চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই এদিন প্রশাসন ময়দানে নামে।