উচ্চতর বিদ্যায় আগ্রহ বাড়বে। মনোমতো বিষয় নিয়ে পঠন-পাঠন হবে। ব্যবসা স্থান শুভ। পৈতৃক ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
নর্থবেঙ্গল টোটো ওনারর্স অ্যান্ড ড্রাইভার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শঙ্কর কর বলেন, টোটোয় প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিচ্ছে ঠিকই কিন্তু কোনও রুট দিচ্ছে না। ফলে যেকোনও টোটো যেকোনও রাস্তায় চলছে। এতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিবহণ দপ্তর বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে রুট নির্ধারণ করেই রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়। এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। সেজন্যই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আসলে গোড়াতেই গলদ তৈরি করে রাখা হয়েছে।
শিলিগুড়ির আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক নবীন অধিকারী বলেন, আমরা এখনও ৬০০’র উপরে ই-রিকশকে রাস্তায় নামার রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সড়ক, এশিয়ান হাইওয়ে, রাজ্য সড়ক, বাসের রুটের মধ্যে অনুমোদিত এই ই-রিকশ চলবে না। রুট হিসেবে ‘লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি’ করা হয়েছে। অর্থাৎ বড় রাস্তায় ওঠার আগে থেকে গলির রাস্তা হয়ে সওয়ারির বাড়ি পর্যন্তই এসব ই-রিকশোকে চলানোর অনুমতিপত্র দেওয়া আছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেভক রোড, হিলাকার্ট রোড সহ মূল রাস্তায় এরা চলতে পারবে না। তবে পুরসভা এলাকার মধ্যে যেকোনও মূল রাস্তা বাদে গলি রাস্তায় চলতে পারবে। তারা ওসব রাস্তায় চলছে কি না তা পুলিস এবং আমাদেরই দেখার কথা। তবে একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আশা করি আমরা শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিস কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিস কমিশনার (ট্রাফিক) ডম্বর সিং সোনার বলেন, প্রধান রাস্তায় টোটো চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। আগে অভিযান হয়েছিল। ফের অভিযানে নামা হবে। এরমধ্যেই অভিযান শুরু হবে।
টিন বিহীন টোটো রুখতে মাস কয়েক আগেই শিলিগুড়িতে পরিবহণ দপ্তর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৩৮০০’র কিছু বেশি টোটোকে ই-রিকশ’র পরিবর্তন করতে টিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ওই নম্বর নিয়ে ই-রিকশ চলছে ৫০টির কাছাকাছি। নির্দিষ্ট নম্বর নিয়ে ই-রিকশ’য় পরিবর্তন না করে টোটো চলানোর পাশাপাশি টিন নেই এমন টোটোর সংখ্যা সব মিলিয়ে হাজার আটেক ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বেআইনি টোটো রুখতে সম্প্রতি মেট্রোপলিটন পুলিসের ট্রাফিক বিভাগ ও মোটরযান দপ্তর হিলকার্ট রোড, বিধান রোডে অভিযান চালিয়ে ধরপাকড় করেছিল। কিছু টোটো সেসময়ে বাজেয়াপ্তও করা হয়েছিল। সেনিয়ে শিলিগুড়িতে টোটো চালকদের সঙ্গে পুলিসের গণ্ডগোলে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। এরপর হিলকার্ট রোড, বিধান রোড, সেভক রোডে টিন বিহীন টোটো চলাচল বন্ধ হলেও বাস্তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। প্রশাসন এনিয়ে গা-ছাড়া দিতেই টোটোর দৌরাত্ম্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ফ্লাইওভার দিয়ে অবাধে চলছে টোটো। টোটোর জটে হিলকার্ট রোড, বিধান রোডে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে মোটর বাইক, স্কুটার সহ সব ধরনের গাড়ি। যদিও ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, শীঘ্রই ফের অভিযানে নামা হবে।