পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
তাঁর অভিমত, প্রবাসী ভারতীয়দের ভাবাবেগ বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে ব্রিটেন। প্রতি বছরই কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূত পড়ুয়ারা দীপাবলির সময় বাড়ি ফেরেন। কিন্তু এবছর লকডাউনের জেরে তা সম্ভব হয়নি। দীপাবলি পালন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কয়েক হাজার প্রবাসী ভারতীয়ও। এর ফলে ব্রিটেনবাসী বহু ভারতীয়ের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। নানা সমীক্ষাতেই দেখা গিয়েছে, কোভিডের জেরে লকডাউন পরিস্থিতি মানুষকে, বিশেষ করে পড়ুয়াদের অবসাদগ্রস্ত করে তুলছে। কাজেই টানা এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে পারে উৎসব। কিন্তু দেশের ভারতীয়দের সেই উৎসব পালন থেকে বঞ্চিত করাটা ব্রিটেন সরকারের সংস্কৃতিহীন মানসিকতাই সামনে আসছে।
সাক্ষাৎকারে ডঃ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ব্রিটেন সরকার প্রবাসী এবং বংশোদ্ভূত ভারতীয়দের ভাবাবেগকে পুরোপুরি এড়িয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য মানসিক স্থিতাবস্থা অবশ্য প্রয়োজনীয়। এর আগে ইদও বাতিল করা হয়েছে। একইভাবে বাতিল হল দিওয়ালি। যাতে ক্রিস্টমাস উৎসব ভালোভাবে পালন করা যায়। সরকারের এহেন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। ব্রিটেনে বসবাসকারী নানা দেশের প্রবাসী নাগরিকদের ভাবাবেগকে সরকারের মর্যাদা দেওয়া উচিত।
সোহমের দাবি, সরকারের আরও বেশি সংস্কৃতিমনস্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যাতে তাদের উৎসবের মরশুমে বাড়ি ফিরতে পারেন সেই অনুমতিও জরুরি। প্রয়োজনে নির্দিষ্ট কয়েকদিন পড়ুয়ারা আইসোলেশনে থাকবেন। কিন্তু টানা লকডাউনে মানসিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ব্রিটেন সরকারের সেই দিকে নজর দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন ডঃ সোহম বন্দ্যোপাধ্যায়।