কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
গত বৃহস্পতিবার ঢাকার পিলখানায় ‘বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর ডিজি পর্যায়ের বৈঠক বসে। তিনদিনের সেই বৈঠক শেষ হয় শনিবার। আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায় দু’দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অপরাধমূলক কাজকর্মের বিষয়টি। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ৪ হাজার ৯৬ কিলেমিটার সীমান্ত। তার দু’পাশে এখনও বহু এলাকা অরক্ষিত। রয়েছে নজরদারির অভাবও। হাতে গরম প্রমাণ মিলেছে বৈঠক চলাকালীনই। মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী জলঙ্গি থেকে এনআইএ’র জালে ধরা পড়েছে ছ’জন আল কায়েদা জঙ্গি। বিএসএফের নিজস্ব গোয়েন্দা সেলের কর্তারা মনে করছেন, ধৃতরা শুধু এপারেই নয়, আন্তরাজ্য মডিউলকে আরও সক্রিয় করতে ওপারেও যাতায়াত করত। সেখানকার কয়েকটি গোপন আস্তানায় বসে জঙ্গি-জাল বিস্তার করার কাজে যুক্ত ছিল ধৃতরা। সীমান্তবর্তী এলাকায় ‘বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো’র সুযোগ নিয়ে খুব সহজেই এইসব সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ক্রমশই বাড়াচ্ছে জঙ্গিরা। বেড়েছে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান। রাতের অন্ধকারে চোরাগোপ্তা পথে অবাধে এপার-ওপার যাতায়াত করছে তারা। গত কয়েক বছর ধরে এই প্রবণতা ক্রমশ বেড়েছে। লকডাউনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অপরাধমূলক কার্যকলাপ সংগঠিত করে সহজেই ওপারে পালাতে সক্ষম হচ্ছে অভিযুক্তরা। এইসব ঘটনা একপ্রকার মেনেও নিয়েছেন বিএসএফের শীর্ষকর্তারা। ফলে ঢাকার বৈঠকে বারবার করে সীমান্তে আরও কড়া নজরদারি প্রসঙ্গটি উঠে এসেছে।
বিএসএফের এক কর্তা এদিন বলেন, তিনদিনের ওই বৈঠকে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’পক্ষই মেনে নিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকাতে অপরাধ দমনে এবং অবাধ পাচার রুখতে নিজেদের মধ্যে যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদানে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। সমন্বয় রক্ষা করতে হবে। বৈঠক থেকে বিজিবি’র কর্তারা আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশের মাটিতে বসে ভারত-বিরোধী ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। তার জন্য নিজেদের গোয়েন্দা সেলগুলিকে আরও সক্রিয় করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। কিন্তু বিজিবি’র ডিজি মেজর জেনারেল মহম্মদ সফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে থাকা বৈঠকে উপস্থিত প্রতিনিধিরা বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের তরফে গোলাগুলি অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। চলতি বছরে ৪৪ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে। বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা তাঁদের পাল্টা বলেন, গোরু, ফেনসিডিল, সোনা-রুপো, মানব পাচার আটকাতে গিয়ে গত এক বছরে ৫০ জন বিএসএফ জওয়ান আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তিনি গুলি চালানোর বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়াও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, দু’পক্ষের তরফে পেট্রলিং আরও বাড়ানো হবে। নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে অরক্ষিত এলাকাগুলিতে। প্রয়োজনে নাইট ভিশন ক্যামেরা দু’পারেই আরও বৃদ্ধি করা হবে।