লন্ডন: ইউরোপে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ছড়ানো নিয়ে এখন চিন্তায় পড়েছে ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক একথা জানান। তাই আপাত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পরও ফের বিধিনিষেধ জারি করা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।
দেশের পর্যটন ব্যবসার দিকে নজর দিতে গিয়ে গত সপ্তাহেই বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র স্পেনের নাগরিকদের ক্ষেত্রে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ ছিল। তবে চলতি সপ্তাহে ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে সংক্রমণ ফের বেড়েছে। তাই আবারও সম্পূর্ণ লকডাউনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ব্রিটেন। সেক্ষেত্রে বিদেশি পর্যটকদের আগমনেও নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। পাশাপাশি দেশে করোনা আক্রান্তদের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ ৭ দিন থেকে বাড়িয়ে ১০ দিন করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা থেকে বাঁচতে শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সাইক্লিংয়ের ছবিও ভাইরাল হয়। সম্প্রতি জানা গেল, সেই সাইকেলটি ছিল ভারতীয় সংস্থার তৈরি। দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় সাইক্লিং করার জন্য বিশেষ লেনও তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বিশ্বে এখনও সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। কিন্তু এতদিনে হোয়াইট হাউসের তরফে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে মাস্ক বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হল। রিপাবলিকান সদস্য লুইস গোহমার্ট করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অধ্যক্ষ ন্যান্সি পেলোসি বুধবার এই নির্দেশিকা জারি করেন। সংক্রামিত হওয়ার পর গোহমার্টের উপরেই দোষ চাপিয়েছেন অধিকাংশই। কারণ তিনি মাস্ক ব্যবহার করতেন না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সফর করা কথা ছিল। ঘটনাচক্রে তার আগেই গোহমার্টের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এল।