সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ
বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত মোজাম্মেল শরিফকে জেরা করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তার সঙ্গে ত্বহার পরিচয় হয়। আইএসের ভাবধারা ও মতাদর্শ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা হতো। এরপর তাকে একটি গ্রুপে জয়েন করানো হয়। এই প্রথম তদন্তকারীরা ‘আইএস’ নামে গ্রুপের বিষয়ে জানতে পারে। সেটি ডিকোড করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ওই গ্রুপে সদস্য সংখ্যা কুড়ির বেশি। তারা বিভিন্ন রাজ্যের বাসিন্দা। সেখানে সিরিয়ার হ্যান্ডলার আইএসের হামলা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পোস্ট করত। কোথাও নাশকতা ঘটানোর আগে কোন কোন জিনিস মাথায় রাখতে হবে এবং কীভাবে এজেন্সির ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে হবে, তার কৌশল শেখাত সিরিয়ার ওই হ্যান্ডলার। ত্বহা বিস্ফোরক তৈরি, লজিস্টিক সাপোর্ট ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করত। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই গ্রুপের সদস্যদের বেশিরভাগই ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ।
মোজাম্মেল তদন্তকারীদের জানিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় ত্বহা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রদের নিয়ে একটি গ্রুপ খোলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মেধাবী ছাত্ররাই তার টার্গেট। সেখানে পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাদের ব্যবহার করা হয়। নতুন নতুন ইন্টারনাল অ্যাপ বা কথোপকথনের আলাদা কোনও সাইট এদের দিয়ে তৈরি করাতে চাইছিল। তাদের জঙ্গি কার্যকলাপে উদ্বুব্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মেসেজ পাঠানো হতো। তাতে আকৃষ্ট হয়ে অনেকেই আইএসে ভেড়ে। তার মধ্যে কয়েকজন ত্বহা সহপাঠীও।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, বাংলা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে এমন একজন সদস্য রয়েছে ওই গ্রুপে। বিস্ফোরণের পর সেই সদস্যই জানিয়ে দেয়, কোন রুটে গেলে নিরাপদে পৌঁছে বাংলায় থাকা সম্ভব। সেইমতো একাধিকবার ট্রেন বদল করে এই শহরে এসে পৌঁছয় ত্বহা এবং মুসাভির হুসেন সাজিব। ওই দু’জন সিরিয়ার হ্যান্ডলারের কাছে টাকাও চায়। সেইমতো বিপুল পরিমাণ টাকা ক্রিপ্টোর কারেন্সির মাধ্যমে পৌঁছয় মোজাম্মেলের হাতে। পরে সেসব যায় এই দুই অভিযুক্তের কাছে।