দীর্ঘকাল ধরে চলা সম্পত্তি মামলায় বিজয়। যাচাই না করে সম্পত্তি ক্রয় বা আর্থিক লেনদেনে ক্ষতির ... বিশদ
তবে সিবালও দুঁদে আইনজীবী। তাঁকে সঙ্গে রাখলে সংসদে দলের হয়ে কথা বলানো তো বটেই, সংসদের বাইরে মামলার ক্ষেত্রেও প্রভূত কাজে লাগে। তাই সোনিয়া গান্ধী টিকিট দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিলেও উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেন এবং বিহারে লালুর দল সিবালকে টিকিট দিতে পারেন বলেই শোনা যাচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশে এবার রাজ্যসভার ১১ টি আসনে ভোট। এর মধ্যে সমাজবাদী পার্টির তিনটি আসন বাঁধা। দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘সাইকেল’ কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে কমিশনে সিবালই সওয়াল করেছিলেন অখিলেশ যাদবের হয়ে। জিতেওছিলেন। আজম খানের মামলাও সুপ্রিম কোর্টে লড়ে জামিন আদায় করে দিয়েছেন সিবালই। তাই ‘প্রতিদানে’ কপিল সিবালকে সমাজবাদী পার্টির এমপি করতে একপ্রকার প্রস্তুত বলেই খবর।
একইভাবে ঝাড়খণ্ডে সম্প্রতি এক মামলায় ফেঁসেছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। মামলা লড়ছেন সিবাল। তাই তাঁকে টিকিট দিতে আগ্রহী সোরেনের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও (জেএমএম)। তবে ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের সঙ্গে জেএমএমের জোট সরকার চলছে। তাই দোটানায় পড়েছেন সোরেন। ঝাড়খণ্ডে এবার দুটি আসনের মধ্যে একটি পাবে জেএমএম। অন্যদিকে, বিহারে ভোট হতে চলা ৫ আসনের মধ্যে লালুপ্রসাদের দল আরজেডি পাবে দুটি আসন। লালুর হয়েও মামলা লড়েন সিবাল। তাই দুটি আসনের মধ্যে একটি সিবালের জন্য ছাড়া হতে পারে বলেই গুঞ্জন। আজ ২৪মে থেকে রাজ্যসভা ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হচ্ছে। শেষদিন ৩১ তারিখ। রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল, কী হবে সিবালের? তিনি কি কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলের হয়ে দাঁড়াবেন? প্রেস্টিজ ফাইটে কি শেষমেশ হারবেন সোনিয়া?