সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
ছবি প্রকাশের পর থেকেই পূর্বতন প্রধানমন্ত্রীদের বিমানযাত্রার পাল্টা ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী থেকে মনমোহন সিংয়ের বিমানযাত্রার ছবি প্রকাশ করে নেটিজেনরা বলছেন, যে কোনও প্রধানমন্ত্রীই একই কাজ করে থাকেন। মোদি নতুন কিছু করেননি। প্রাক্তন প্রধামনমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রী দাদুর একটি বিদেশ সফরের ছবি ট্যুইট করে লিখেছেন, ‘পুরনো ছবি: আমার দাদু লালবাহাদুর শাস্ত্রীও বিমানে ফাইল পড়তেন।’ সাদাকালো ছবিতে লালবাহাদুরের স্ত্রী ললিতা শাস্ত্রীকেও দেখা যাচ্ছে। একব্যক্তি ট্যুইটারে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিমানযাত্রার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমরা কত তাড়াতাড়ি পিছনে পড়ে গেলাম! আশির দশকে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বিমানে বসে ল্যাপটপে কাজ করতেন। আর মোদিজি পেপার ওয়ার্ক
করছেন!’ আলোচনায় এসে পড়েছেন দেশের দশম প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাও। এক ব্যক্তি নরসিমা রাওয়ের বিমানযাত্রার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘পেপার এবং ফাইল পড়তে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী।’ তবে সবচেয়ে বেশি তুলনা টানা হয়েছে মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে। এই মনমোহনকেই এক সময়ে ‘মৌনিবাবা’ বলে কটাক্ষ করতেন মোদি। প্রাক্তন সাংসদ শাহিদ সিদ্দিকি মনমোহনের বিমানযাত্রার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমি অনেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফর করেছি। তবে বিজেপি সবসময়ই দাবি করে, তারা এটা প্রথম করেছে। ওদের কাছে ২০১৪ সালের আগে ভারতের অস্তিত্বই ছিল না।’ আর কংগ্রেসের পোস্ট করা তিনটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক করছেন মনমোহন। সঙ্গে মন্তব্য, ‘কিছু ছবি নকল করা যায় না।’ যা দেখে এক ফলোয়ারের কটাক্ষ, সরকারি খরচে একঝাঁক সাংবাদিককে বিদেশ নিয়ে গিয়ে ইতিবাচক খবর প্রকাশ করতেন নীরব প্রধানমন্ত্রী।