সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
বিজেপি টিকিটে বিধায়ক পদে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলে যোগদান করেন মুকুল। এই ঘটনাকে সামনে রেখে দলত্যাগ বিরোধী আইন মোতাবেক তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য অধ্যক্ষের কাছে তথ্যপ্রমাণ সহ বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে নালিশ জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন ছিল সেই অভিযোগ নিয়ে চতুর্থ শুনানির দিন। নিজের দলগত অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য অধ্যক্ষ মুকুলকে এদিন সশরীরে হাজির হওয়ার নিদান দেন। তবে তিনি এদিন আসেননি শুনানিতে। পরিবর্তে তাঁর হয়ে সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ সংক্ষিপ্ত একটি চিঠি লিখে অধ্যক্ষকে জানান, অসুস্থতার কারণে মুকুলবাবু এদিন শুনানিতে হাজির হতে পারবেন না। আইনজীবী নিয়ে শুনানিতে যাওয়া শুভেন্দু অধ্যক্ষকে দেওয়া নির্মলবাবুর এই চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুকুলের দলত্যাগের অভিযোগের আরও একটি প্রমাণ বলে দাবি করেন। সেই সঙ্গে মনিপুরের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দেওয়া রায়ের কপি দিয়ে অধ্যক্ষকে জানান, অভিযোগ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে এবিষয়ে ফয়সালার সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মুকুলের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে চার মাস সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই ওঁর বিধায়ক পদ অনতিবিলম্বে খারিজ করা উচিত। অধ্যক্ষ অবশ্য সব কিছু খতিয়ে দেখে পরে তাঁর পর্যবেক্ষণ জানাবেন বলে বিরোধী দলনেতাকে জানান। সেই সঙ্গে আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হাইকোর্টে যে কেউ যেতে পারেন। সবার জন্যই আদালতের দরজা খোলা থাকে। এটুকু বলতে পারি, আমি বিধি অনুযায়ী বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখন বিরোধীপক্ষ কী পদক্ষেপ করবে, সেটা ওদের ব্যাপার।