সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
২০২০ সালের শুরু থেকে ধরলে গত ২১ মাসে ২৭টি দেশে সফর করেছেন বিদেশমন্ত্রী। যার মধ্যে মাত্র চারটি দেশে তিনি গিয়েছেন ভারতে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার আগে। তারপর গতবছর আগস্ট থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ফের রকেট গতিতে বিদেশ সফর শুরু করেন জয়শঙ্কর। বিভিন্ন দেশে আরও জটিল, আরও সংক্রামক করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতিও তাঁর এই সফরে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনও ধরনের ইতিবাচক দর কষাকষি চালাতে অথবা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পোক্ত করতে মুখোমুখি সাক্ষাতের কোনও বিকল্প নেই। প্রাক্তন বিদেশ সচিব কানওয়াল সিবাল বলেন, ‘বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিদেশমন্ত্রীর সফরের রাজনৈতিক গুরুত্ব থাকে। বিশেষ করে অশান্ত পরিস্থিতিতে বা সংশ্লিষ্ট দেশের উপর চাপ বাড়াতে এইধরনের সফর করেন বিদেশমন্ত্রীরা। আবার অনেক সময় রাষ্ট্রপ্রধানের সফরের আগে প্রস্তুতি হিসেবেও বিদেশমন্ত্রীকে সাগরপাড়ে পাড়ি দিতে হয়। তবে, ২১ মাসে ২৭টি দেশে সফরকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হিসেবে দেখছেন না কানওয়াল। প্রাক্তন বিদেশ সচিবের কথায়, ‘অতীতের বিদেশমন্ত্রীরাও এই সংখ্যায় পৌঁছতে পারতেন। যদি না তাঁরা জাতীয় অথবা নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের রাজনীতির কোন্দলে জড়িয়ে পড়তেন।’
কানওয়াল মনে না করলেও অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক বিজয় কে নাম্বিয়ার জয়শঙ্করের এই ‘পরিসংখ্যান’কে ‘কুর্নিশযোগ্য’ আখ্যা দিয়েছেন। একই সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতিতে বিষয়টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। বলেন, ‘সশরীরে উপস্থিতির মাধ্যমেই দু’দেশের প্রতিনিধির মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস গাঢ় হয়। আমার মনে হয়, ভারত এখন এই বিষয়ের উপরেই বেশি জোর দিতে চাইছে।’ বস্তুত, বেশ কয়েকটি ছোট দেশে জয়শঙ্কর সফর করেছেন বড় কোনও দেশকে পরোক্ষভাবে চাপে রাখতে।
কোভিডকালে বিদেশ সফরে ‘ঝুঁকি’ যে রয়েছে, তা ১০০ শতাংশ সঠিক। যেমন— গত মে মাসে জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে ব্রিটেন গিয়েছিলেন জয়শঙ্কর। আর তারপরই ভারতীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্যের করোনা ধরা পড়ে। যার ফলে সেল্ফ আইসোলেশনে থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেঠকে যোগ দিতে হয় বিদেশমন্ত্রীকে।