নয়াদিল্লি: লক্ষ্য ছিল পৈতৃক সম্পত্তি হাতানো। তা পূরণ করতে ২০ বছর ধরে একে একে পরিবারের পাঁচ সদস্যকে ঠান্ডা মাথায় খুন। এই অভিযোগে বুধবার লীলু ত্যাগী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল গাজিয়াবাদ পুলিস। তাঁর দুই সহযোগী সুরেন্দ্র ত্যাগী ও রাহুলেরও খোঁজ চলছে। পুলিস সূত্রে খবর, গত ১৫ আগস্ট এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল। ওই ব্যক্তি অভিযুক্ত লীলুর আত্মীয়। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিস। তাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গাজিয়াবাদে লীলুর বিপুল পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। তা দখল করতে ছক কষে সে। ঠান্ডা মাথায় পরিবারের একের পর এক সদস্যকে খুন করতে থাকে লীলু। কিন্তু, ঘূণাক্ষরে কেউ কিছু টের পায়নি। তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, প্রায় ২০ বছর আগে লীলু তার বড় ভাই সুধীরকে খুন করে। এরপরই বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে ভাইজিকেও। এখানেই থামেনি সে। সম্পত্তির লোভে সুধীরের আর এক মেয়েকে হত্যা করে নদীর জলে ফেলে দেয়। ২০১২ সালে আর এক ভাই ব্রিজেশের ছেলেকেও খুন করে দেহ লোপাট করে দেয় অভিযুক্ত। চলতি বছর পরিবারের পঞ্চম সদস্য তথা ব্রিজেশের ছেলে রেসুকে খুনের পরিকল্পনা করে লীলু। সেইমতো রেসুকে খাওয়া-দাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে এলে দড়ি নিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকেও মেরে ফেলে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীরা। আগেরবারের মতো দেহটি বুলন্দশহরের একটি খালে ফেলে দেয় তারা।
পুলিস জানতে পেরেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে দাদার স্ত্রীর সঙ্গেই থাকছিল লীলু। ছল-ছাতুরি করে মৃতদের সম্পত্তি একে একে নিজের নামেও লিখিয়েও নেয়। কিন্তু, তার আচরণে অস্বাভাবিকতা না থাকায় কেউ কোনও সন্দেহ করেননি। সেই সুযোগে দুই দশকের পর একের পর এক হত্যা চালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত।