পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিকে পড়শি দুই রাজ্যের সংঘর্ষ নিয়ে মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর তোপ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যর্থতার জন্যই এই ঘটনা। ট্যুইটারে সংঘর্ষের একটি ভিডিও পোস্ট করে রাহুল লিখেছেন, ‘এই ক্ষত দ্রুত কাটিয়ে উঠুক অসম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পুরোপুরি ব্যর্থ। দেশে হিংসা ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ।’ উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যের সংঘর্ষ নিয়ে মঙ্গলবার সংসদে বিবৃতি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই সংঘর্ষের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই প্রতিবেশী দুই রাজ্যের সংঘর্ষ মেটানো সম্ভব। সঠিক সীমানা নির্ধারণ না থাকার কারণে উভয়ই দাবি ও পাল্টা দাবি করেছে। এর থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
এদিকে পুলিস ও সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনায় তিনদিনের শোক ঘোষণা করেছে অসম সরকার। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অসমে সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এদিন শিলচর হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেখানে তিনি বলেন, ‘এই সংঘর্ষ কোনও রাজনৈতিক দলের মধ্যে হয়নি। দুই রাজ্যের মধ্যে হয়েছে। কংগ্রেস সরকারের আমলেও এমনটা হয়েছে। আমরা সীমানায় শান্তি চাই। কিন্তু রাজ্যের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না।’ তবে সীমানায় উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন অসমের ডিজিপি জি পি সিং। উত্তর-পূর্বের এই দুই রাজ্যের সীমানা লাগোয়া বনাঞ্চল ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা রয়েছে। সেখানে জুম চাষের জন্য বনাঞ্চল কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে বলে স্যাটেলাইটে তোলা একটি ছবি তুলে ধরেন হিমন্ত। তিনি দাবি করেন, ওই অঞ্চলে বনাঞ্চল ধ্বংস করে সড়ক ও পরিকাঠামো তৈরি করছে পড়শি রাজ্য। যা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। বনাঞ্চল রক্ষা করতে তাঁর সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সোমবারের সংঘাত প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, মিজোরামের মানুষের সঙ্গে আমাদের লড়াই নয়। জমির জন্যও নয়। অসম সরকার বনাঞ্চল রক্ষা করে চলেছে। তাঁর সরকারের এই লড়াই জারি থাকবে। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কারও জমি নিইনি। কাউকে এক ইঞ্চি জমিও দেব না। যদি মিজোরাম সরকার তাদের জমি দখল নিয়ে কোনও নথি দেয়, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তা ছেড়ে দেব।’ তাঁর দাবি, সীমানা নিয়ে যাবতীয় নীতি অসম মেনে চললেও, মিজোরাম তা মানছে না। সোমবার সীমানার পোস্ট থেকে ১০০ মিটার দূরেই অসম পুলিস মোতায়েন ছিল বলেও তিনি দাবি করেন। ওই সংঘর্ষের পর থেকে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন কাছাড়ের বাসিন্দারা। তাঁরা মিজোরামের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। রাস্তা অবরোধ করে পড়শি রাজ্যে কোনও পণ্য ঢুকতে হবে না বলে তাঁরা জানিয়েছেন। মিজোরাম সীমানা লাগোয়া কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে তিন ব্যাটালিয়ন কমান্ডো বাহিনী মোতায়েন করেছে অসম সরকার। দুই রাজ্যকেই বাহিনী সরাতে নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।