উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। হিসেব করে চললে তেমন আর্থিক সমস্যায় পড়তে হবে না। ব্যবসায় উন্নতি ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। যা চলছে সেটি স্বাস্থ্যকর বিতর্ক। এমন বিতর্ক যত হবে দেশের শিক্ষা তত লাভবান হবে। আজকে এই নীতি নিয়ে কনক্লেভ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৩-৪ বছরের সমীক্ষার ফল এই শিক্ষানীতি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তৈরি করাই এই শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য। একুশ শতকে দেশের এক নতুন ভিত্তি গড়া এবং ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানানোর দৌড় থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বের করাও এর লক্ষ্য। এ প্রসঙ্গে, প্রধানমন্ত্রী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, উচ্চশিক্ষা কেবল আমাদের জ্ঞান দান করে না, আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব বুঝতেও সাহায্য করে।
যুব সমাজের ক্ষমতায়ন বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হয়েছে এই শিক্ষানীতিতে। তিনি বলেন কী ভাবতে হবে তা নয়, বরং শেখাতে হবে কীভাবে ভাবতে হবে। ক্রমাগত ইঁদুর দৌড় থেকে শিক্ষাব্যবস্থাকে বের করে এনে কেরিয়ার উপযোগী করে তুলবে নয়া এই জাতীয় শিক্ষানীতি। এই নীতি অনুযায়ী সিলেবাসের বোঝা কম করে, ‘ডিসকাসান বেস’, ‘অ্যানালিসিস বেস’, ‘এনকোয়ারি বেস’ করা হচ্ছে। এর ফলে পড়াশোনার সঠিক উপযোগিতা পাওয়া যাবে। অনেক সময় দেখা যায় কোনও কোর্স করার পরও চাকরির বাজারে তার কোনও মূল্য থাকেনা। এই নীতি অনুযায়ী চাকরির প্রয়োজন অনুযায়ী পড়াশোনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে অনেক পড়ুয়াকে অনেক সময়ই বিভিন্ন কারণে বাধ্য হয়েই পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই নতুন এই শিক্ষানীতিতে ‘মাল্টিপল এন্ট্রি ও এক্সিট’ রাখা হয়েছে। ফলে প্রয়োজন অনুসারে দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হতে পারে। অন্যদিকে, এই নীতিতে কৃষক ও শ্রমিকের কাজকেও সামনে থেকে দেখার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি ট্যালেন্ট ও টেকনোলজির মেলবন্ধনও ঘটানোর সুযোগ থাকছে। নতুন এই শিক্ষানীতিতে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে পারে। শুধু পড়ুয়াদের নয় শিক্ষাক্ষেত্রগুলি ও টিচার্স ট্রেনিংয়েও জোর দেওয়া হচ্ছে এই নীতিতে।