আমেদাবাদ: আমেদাবাদে একটি কোভিড হাসপাতালে ভয়াবহ আগুন লেগে মৃত্যু হল ৮ জন রোগীর। তাঁরা প্রত্যেকে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪০ জনকে উদ্ধার করে অন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নবরংপুরা এলাকায় শ্রেয়া নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। আমেদাবাদ পুরসভা অনুমোদিত ওই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। আট রোগীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক সহ অনেকেই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে মৃত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
দমকল আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাঁচতলা বিশিষ্ট এই হাসপাতালের সবচেয়ে উপরের তলায় আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালের তরফে দমকলে খবর দেওয়া হয়। তবে দমকলকর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করার আগে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় আইসিইউ বিভাগ। সেখানে ভর্তি থাকা ৮ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান দমকল আধিকারিকদের। তবে প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। পাশাপাশি, অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে এই কমিটিকে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি জয়ন্ত রবি। এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে বিজয় রূপানি এবং মেয়র বাইজল প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খোঁজ নেন তিনি। ট্যুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমেদাবাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যথিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই প্রার্থনা করছি।’ এরপরই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের এক স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁর নাম চিরাগ প্যাটেল। ওই কর্মীর তত্পরতার কারণেই তিনজন রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে খবর।