কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
তবে ভারতের পক্ষে ইতিবাচক হল, চীনের মোকাবিলায় নতুন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ব্লু ডট নেটওয়ার্ক। আমেরিকা সমমনস্ক দেশগুলিকে নিয়ে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড করিডরের পাল্টা এই প্রকল্প নেবে। আমেরিকার ফিনান্সিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ভারতে দপ্তর খুলবে। এসবই ভারতের পক্ষে সুখদায়ক বার্তা। কিন্তু অনেক বেশি দরকার ছিল অবিলম্বে ভারতের জন্য রপ্তানি বাণিজ্য খুলে দেওয়ার পদক্ষেপ। একইসঙ্গে যেসব রপ্তানি পণ্যগুলির উপর আমেরিকা অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে, সেই শুল্কে ছাড় দেওয়া। বস্তুত ১ লক্ষ মানুষকে নিয়ে আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়ামে নমস্তে ট্রাম্প নামে মেগা শো হল। সবরমতী আশ্রম ও রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানানো হল। তাজমহলে হল সূর্যাস্তের আলোয় ফোটোসেশন। দিল্লির সরকারি স্কুলে মেলানিয়া ট্রাম্প শিশুদের সঙ্গে সময় কাটালেন। কিন্তু ভারতের পক্ষে যে বিপুল লাভ হল এমন নয়। তবে ভারত যে আরও বেশি করে আমেরিকা শিবিরের এক বিশ্বস্ত সঙ্গী, এটাই প্রমাণ করতে দু’দিন ধরে তৎপর ছিলেন ট্রাম্প। বিনিময়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন থেকে কাশ্মীর। ধর্মীয় অধিকার রক্ষার লড়াই বা সন্ত্রাসদমন, প্রতিটি ইস্যুতেই নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিকেলে ভারত ও মার্কিন মিডিয়ার যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প মুন্সিয়ানার পরিচয় দিলেন কূটনীতি এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার ভারসাম্যে। বললেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ভারতের নিজস্ব বিষয়। আশা করি, ওটা ভালো আইন। স্পষ্ট জানালেন কাশ্মীর এবং সন্ত্রাস দুটিই ভারত ও পাকিস্তানের প্রধান সমস্যা। দুই দেশ চাইলে তিনি মধ্যস্থতা করতে রাজি। কিন্তু পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণ করলেন না। কারণ তালিবান-আমেরিকা চুক্তি হতে চলছে। আর সেই প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। ধর্মীয় অধিকার নিয়ে আজ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদির সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে জানিয়ে ট্রাম্প বললেন, মোদির বক্তব্য থেকে স্পষ্ট তিনি ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় আন্তরিক। ট্রাম্পের শেষ বাক্য—মোদির নেতৃত্বে ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে, অপেক্ষা করুন, ভারত হবে মহাশক্তি!