কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
এদিন বিধানসভা শুরু হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে অধিবেশন। সিএএ, এনআরসি, এনপিআর ইস্যুতে মুলতুবি প্রস্তাব আনেন আরজেডির নেতা তথা বিরোধী দলনেতা লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। স্পিকার বিজয়কুমার চৌধুরি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শ্রবণ কুমার বলতে উঠলে ‘সিএএ কালা কানুন’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন আরজেডি সহ অন্যান্য বিরোধী দলের বিধায়করা। স্লোগানের বিরোধিতায় গলার সুর চড়ান বিজেপির বিধায়ক নন্দকিশোর যাদব, বিজয়কুমার সিনহা সহ অন্যান্যরা। শুরু হয় প্রবল হট্টগোল। বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন তোলেন, ‘সংসদে কি তা হলে কালা কানুন পাশ হয়েছে?’ পাল্টা বিজেপিকে ‘নাথুরাম গডসের আদর্শে বিশ্বাসী’ বলে আক্রমণ করেন আরজেডির বিধায়করা। দু’পক্ষের তীব্র বাদানুবাদে ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার। পরে অধিবেশন শুরু হলেও হইচই থামেনি। তারই মধ্যে জবাব দিতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁর রাজ্যে এনআরসি কার্যকর হবে না। তিনি করতে দেবেন না। তিনি আগেও এনপিআর থেকে আপত্তিকর অংশগুলি বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। এদিন সেই দুই প্রস্তাব পাশ হয়েছে বিহার বিধানসভায়। এনপিআর-এর ২০১০ সালের যে ফর্ম ছিল, সেই ফর্মই কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন নীতীশ কুমার। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, রাজ্যের এই অবস্থান জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠিও লিখেছেন তিনি। নীতীশ কুমারের বক্তব্যের বিরোধিতা করে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, ‘আমরা এনপিআর-এর বিরুদ্ধে প্রস্তাবনা আনার দাবি তুলেছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আগের এনপিআর-এর পক্ষে সায় দিয়েছেন। আমাদের কাছে বিষয়টি স্পষ্ট নয়।’ ২০১৭ সালে আরজেডির সঙ্গে মহাজোট ভেঙে এনডিএতে ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেন তেজস্বী। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র বাক্য বিনিময় হয়। তখনই নীতীশ কুমার বিরোধী দলনেতার উদ্দেশে বলেন, ‘তুমি আমাকে নিয়ে এত কথা বলো না। তোমার বাবার সেই অধিকার আছে। তোমার নেই।’ মুখ্যমন্ত্রীর মৃদু ভর্ৎসনায় হেসে নিজের আসনে বসে পড়েন তেজস্বী যাদব। পরে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে দেখা করেন তেজস্বী যাদব।