অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কারণ, রাজনৈতিকভাবে বিরোধিতা করলেও সিংহভাগ দলই এই বিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সমালোচনা করে বিপক্ষে ভোট দিতে পারবে না। বিলে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে স্থান নেই এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সকলেই ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। কারণ, তাদের শরণার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ যে কথা বিলে বলা হয়নি, সেটা হল, ওই একই সময়সীমায় মুসলিমরা এলে তাদের অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। কিন্তু অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে অভিযান হিসেবেই এই বিলকে তুলে ধরবে সরকার। আর তার ফলেই সরকার মনে করছে সরাসরি বিলের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার ঝুঁকি নেবে না কোনও দলই।
বস্তুত সরকারের আশাবাদী হওয়ার আরও বড় কারণ, শিবসেনা যতই বিজেপি জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাক, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থন করবে। বিজু জনতা দল, এআইডিএমকের সমর্থনও পাওয়া যাবে। প্রথম থেকে বিরোধিতা করলেও নীতীশ কুমারের দল আভাস দিয়েছে তারাও সমর্থন করতে পারে। আজ মায়াবতী বলেছেন, তাঁর দল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সমর্থন করবে না। বিজেপির আশা, সমর্থন না করলেও শেষ মুহূর্তে মায়াবতীর দল রাজ্যসভা থেকে ভোটাভুটির আগেই ওয়াক আউট করবে। বিপক্ষে ভোট দেবে না। এমনকী কংগ্রেস, তৃণমূল, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি বিলের বিরোধিতায় সরব হলেও বিপক্ষে ভোট দেবে কিনা তা নিয়েও বিজেপির সন্দেহ আছে। তবে বিরোধী দলের একাংশ বিলের বিরোধিতা করে বিলটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর দাবিতেই সরব হবে বলেই জানা যাচ্ছে। আর সেটা সরকার রাজি নয়।