অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
এদিকে, সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের নেতারা এদিন নির্যাতিতার সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে গেলে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। সপা নেতা তথা বিধান পরিষদের বিরোধী দলনেতা আহমেদ হাসান অভিযোগ করেন, তাঁরা নির্যাতিতার পরিবারকে পাশে থাকার বার্তা দিতেই হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, আরও এক সপা নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব বলেন, ‘উন্নাওয়ের ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করে রাজ্য সরকারের গণ-ইস্তফা দেওয়া উচিত।’ অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু আবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও তাঁর সরকারকে নিশানা করে বলেন, ‘দেখে অবাক লাগে, এই ধরনের একের পর এক ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে আর বিজেপি সরকার বাহবা কুড়োতেই ব্যস্ত রয়েছে। জেলে থাকা অভিযুক্ত বাইরে এসেই ফের অপরাধ ঘটাল। এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। এই রাজ্যে কেউই সুরক্ষিত নয়।’ উন্নাওয়ের ঘটনাটি নিয়ে এদিন রাজ্যসভাতেও কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীরা তুমুল হট্টগোল করে। যার জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা অধিবেশন মুলতুবি রাখতে বাধ্য হন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ।
এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও উন্নাওয়ের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এই ঘটনায় অবিলম্বে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে পাওয়ার বলেন, ‘ধর্ষণের অভিযোগকারিণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করল অভিযুক্তরাই। এই ঘটনায় আমি হতবাক হয়েছি। এখন ওই নির্যাতিতা তরুণী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। দোষীরা যদি সঠিক সময়ে শাস্তি পেয়ে যেত, তাহলে হয়তো এই ঘটনা ঘটত না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত।’ একই দাবি করেছেন আরও এক এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলও। অন্যদিকে, এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী রণবেন্দ্র প্রতাপ সিং। এদিন তিনি দাবি করেন, স্বয়ং ভগবান রামও ১০০ শতাংশ অপরাধ-মুক্ত সমাজের গ্যারান্টি দিতে পারবেন না। তাঁর কথায়, ‘সমাজ থাকলে অপরাধও থাকবে। ভগবান রামও অপরাধমুক্ত সমাজের গ্যারান্টি দিতে পারবেন না।’