নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সন্দেশখালির পর ভূপতিনগর। তদন্তে গিয়ে ফের হামলার অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের উপর। যেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভোটের মুখে ফের সরগরম রাজ্য রাজনীতি। জানা গিয়েছে, আজ, শনিবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে অর্জুননগর নাড়ুয়াভিলা এলাকায় যায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি টিম। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণকাণ্ডে তলব করা সত্বেও যারা হাজির হননি, মূলত তাঁদের খোঁজ করতেই এলাকায় গিয়েছিল এনআইএ। অভিযোগ, এনআইএ আধিকারিকরা পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের একাংশ তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। একই সঙ্গে তাঁদের গাড়ির দিকে ইটও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এমনকি আধিকারিকদের মারধর এবং এনআইএর গাড়ির কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্বভাবতই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। বিজেপির তরফে এই হামলার পিছনে তৃণমূল রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল সেই দাবি নস্যাৎ করেছে। আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা থেকে এনআইএ-র সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাত নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তারমধ্যেই এনআইএ অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ানোয় ভোটের আগে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এই আকস্মিক তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে এই ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। এনআইএর অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিস। অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দা মানবেন্দ্র জানা ও তার পরিবারের লোক সহ গ্রামের কিছু মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা পুলিস সূত্রে খবর, আজ ভোরবেলা পুলিসকে তাদের অভিযান ও প্রয়োজন সম্পর্কে জানায় এনআইএ। কিন্তু রিকুইজিশন অনুযায়ী পুলিসবাহিনী পাঠানোর আগেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে যায় এনআইএ-র টিম। একজনকে আটকও করা হয়। এরপরই হামলা চলে বলে অভিযোগ।