পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
করোনা আবহে পরীক্ষার বিপক্ষে সিংহভাগ ছাত্রছাত্রী। শুধু তাই নয়, তারা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বেশ একজোটও। তাই মতামত নেওয়া হলে পরীক্ষার বিপক্ষেই যে ভোট বেশি পড়বে, তা ওয়াকিবহাল মহল আগে থেকেই ধরে রেখেছিল। কিন্তু সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছে। সংগঠনের দাবি, ছাত্রছাত্রীদের টিকা দিয়ে, পরীক্ষাকেন্দ্র স্যানিটাইজ করে এবং শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়া হোক। না হলে একটা প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চও পরীক্ষা বাতিলের বিপক্ষে সওয়াল করেছে।
তবে সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ। তারা বিবৃতি পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। আর ব্যাপারটার অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তারা প্রশ্ন তুলেছে, ২৪ ঘণ্টায় আসা ৩৪ হাজার ই-মেল কখন পড়া হল? তাহলে কি সব আগে থেকেই ঠিক ছিল? জনগণের মতামত নেওয়াটা স্রেফ লোকদেখানো ছিল? যদিও এই তত্ত্ব সমর্থন করছে না শিক্ষক সংগঠনগুলি। বরং তাদের আক্ষেপ, আলাদা করে শিক্ষকদের মতামত না নেওয়ার জন্য।
পরীক্ষা বাতিলের পর আসে মূল্যায়নের প্রশ্ন। রাজ্য সরকার স্নাতক স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা বেশ কয়েক বছর ধরেই বাতিল করেছে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক বা দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দেব ষড়ঙ্গী বলেন, দেখতে হবে ছাত্রছাত্রীরা যাতে বঞ্চিত না হয়। একাদশের পরীক্ষার নম্বর এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রজেক্ট ও প্র্যাকটিক্যালের নম্বর নিয়ে কোনও বিজ্ঞানসম্মত গড় বের করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে মনে হয়। তবে যে পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন করা হোক, ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বর যেন মাধ্যমিকের চেয়ে কম না হয়। অর্থাৎ মাধ্যমিকে গণিতে যে যত পেয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে তাকে সেই নম্বরের চেয়ে যেন কম না দেওয়া হয়। বহু স্কুলই একাদশে চেপে নম্বর দেয়। প্রজেক্ট এবং প্র্যাকটিক্যালের ক্ষেত্রেও সে কথা খাটে। তাই কোনও বিষয়ে নম্বর দেওয়ার সময় মাধ্যমিকে সেই ছাত্র ছাত্রী কত পেয়েছে, সেটা যেন দেখা হয়।