কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
এদিকে, লায়লা বিবি নামে করোনা আক্রান্ত এক রোগিণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সারাদিন চাঞ্চল্য ছড়াল শহরে। স্রেফ টাকার জন্য তমলুকের বাসিন্দা ওই আশঙ্কাজনক রোগীর চিকিৎসা করেনি ডিসান হাসপাতাল—এমন অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার পুত্র লাজিম খান। তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাতে শহরের আর একটি হাসপাতাল থেকে তাঁর মাকে অ্যাম্বুলেন্সে ডিসানে নিয়ে গেলে তিন লাখ টাকা চাওয়া হয়। সাফ জানানো হয়, টাকা না দিলে মরণাপন্ন মায়ের চিকিৎসা হবে না। মাত্র এক ঘন্টায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিলেও চিকিৎসা শুরু হয়নি। এভাবে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন লাজিম। অন্যদিকে মঙ্গলবার ডিসানের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাপস মুখোপাধ্যায় পাল্টা দাবি করেন, মৃত অবস্থায় ওই মহিলাকে হাসপাতালে আনা হয়। সেকথা হাসপাতালের তরফে পুলিসকে জানানোও হয়েছে। টাকার জন্য চিকিৎসা হয়নি, এই অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে অসুস্থ মাকে পার্ক সার্কাস লাগোয়া একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন লাজিম। লায়লা বিবির হার্টের সমস্যা ছিল। ওই হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই করোনা হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে সোমবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ডিসানে আনা হয়। তার আগে রোগিণীর জন্য বেড বুক করা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার পর দৈনিক ৭০ হাজার টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি বলা হয় তিন লাখ টাকা না পেলে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব নয়। বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, রোগিণীর ছেলে নিজের ক্রেডিট কার্ড থেকে ৩০ হাজার ও ডেবিট কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা হাসপাতালকে দেন। এছাড়া আবু ধাবিতে তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইনে আরও দু’লক্ষ টাকা হাসপাতালে জমা দেন। এতকিছুর পরও হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগিণীকে দেখেননি বলে অভিযোগ। শেষে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তাঁর।
অন্যদিকে করোনা বর্জ্য নিদিষ্ট পদ্ধতি মেনে ব্যবস্থাপনার জন্য সবক’টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং সব মেডিক্যাল কলেজের সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য। তাঁদের একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বলা হয়েছে তাঁদের। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ওয়েবসাইটে (মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) জানানো হয়েছে, রাজ্যের ৮৪টি সরকার ও সরকার অধিগৃহীত কোভিড হাসপাতালে ১১৭৭৫টি শয্যার মধ্যে ৭৪০৭টিই খালি। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা মিলিয়ে যে ৬২টি বেসরকারি হাসপাতাল করোনা রোগীর চিকিৎসা করে, তাদের মোট ২৫৩৩টি শয্যার মধ্যে ৪৬৪টি খালি রয়েছে।