কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
এইসব অনুষ্ঠানস্থলে প্রচুর কঠিন ও তরল বর্জ্য তৈরি হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেআইনিভাবে ভূ-গর্ভস্থ জল তোলা হয়। জেনারেটরের ধোঁয়ায় দূষণ ছড়ায়। সেইসঙ্গে ডিজে’র দাপটে কান ঝালাপালা হওয়ার জোগাড় হয়। আতসবাজির আওয়াজে পিলে চমকায় মানুষের। এমন বহু অভিযোগ ওঠে সেই সব অনুষ্ঠান বাড়ির আশপাশ থেকে। এক্ষেত্রে আইন নেমে অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয় কি না, জানতে চেয়েছিল আদালত। আদালতের ধারণা, আইন থাকলেও তা যথাযথভাবে মানা না, সেব্যাপারে তদারকির অভাব রয়েছে। তার জেরে পর্ষদ গাইডলাইন পেশ করেছে জাতীয় পরিবেশ আাদালতে। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবার থেকে কোনও অনুষ্ঠানস্থল তৈরি করতে হলে রাজ্য দূষণ পর্ষদের অনুমতি বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। পর্ষদগুলিকেও সেই অনুমোদন দেওয়ার আগে বিধি পালনের উপযোগী পরিকাঠামো রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
অনুষ্ঠানস্থলে গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা রাখতে হবে। কঠিন ও তরল বর্জ্য সরানোর পরিকাঠামো সহ নিকাশি ব্যবস্থাও দূষণবিধি মেনে করতে হবে। বৃষ্টির জল ধরা ও পরিশোধনের ব্যবস্থা ছাড়াও থাকতে হবে সিসি ক্যামেরা। মাটির নীচে থেকে জল তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। এইসব অনুশাসন না মানলে অনুষ্ঠান বাড়ি, হোটেল বো ব্যাঙ্কোয়েট বন্ধ করে দেওয়া হবে। বছরে দু’বার পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য পেশ করতে হবে।
অনুষ্ঠানবাড়ির আশপাশে রাস্তার ধারে অজস্র গাড়ির ভিড়, পরিচিত দৃশ্য। এমন চলতে দেওয়া যাবে না, সাফ জানিয়েছে আদালত। নির্দিষ্ট জায়গাতেই গাড়ি রাখতে হবে। তার বাইরে গাড়ি পার্কিং করা হলে জরিমানা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আদালতকে জানায়, সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি রাজ্য তার জবাব পাঠিয়েছে। কিন্তু, অধিকাংশ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ রিপোর্ট পাঠায়নি। এই অবস্থায় বিচারপতি আদর্শকুমার গোয়েল, বিচারপতি এস পি ওয়াংদি ও বিশেষজ্ঞ সদস্য ডঃ নাগিন নন্দা জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে ট্রাইব্যুনাল ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।