কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
প্রথমে আসা যাক খরচে। বেশ কিছু সংস্থার উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। জুনে উৎপাদন খরচ মাত্র এক থেকে তিন শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে ১৩ শতাংশ সংস্থা। অথচ মে মাসে ওই একই হারে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিল ১৭ শতাংশ সংস্থা। অম্তত ২০ শতাংশ সংস্থা আবার জুনে উৎপাদন খরচ সামান্য কমে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরেছে। এক শতাংশ বা তার চেয়েও খরচ কমার দাবি ১০ শতাংশ সংস্থার। তবে ১৬ শতাংশ সংস্থার মত, জুন মাসে তাদের পণ্য উৎপাদন খরচ ছয় শতাংশ বা তারও বেশি বেড়েছে।
রিপোর্ট বলছে, বহু সংস্থারই বিক্রি এখনও ছন্দে ফেরেনি। গত বছর এই সময়ে বিক্রির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। করোনা পরিস্থিতি যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রবল বাধা হয়ে দাঁড়াবে, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আইআইএম জানাচ্ছে, পরিস্থিতি আদৌ হতাশাজনক নয়। কী বলছে তারা? গত এপ্রিলে ৮১ শতাংশ সংস্থা জানিয়েছিল, তাদের বিক্রি অনেকটাই কম। মে মাসে যা নেমে আসে ৭৫ শতাংশে। জুনে তা ৭১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। কমপক্ষে ২৪ শতাংশ সংস্থার দাবি, জুন মাসে তাদের বিক্রিবাটা প্রায় স্বাভাবিক, কিংবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল—প্রায় পাঁচ শতাংশ সংস্থা জানিয়েছে, বিগত বেশ কয়েকটি বছরের তুলনায় এই জুন মাসে তাদের বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই বেশি!
আর মুনাফা? শুধু জুনে মুনাফার অঙ্ক স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে দাবি করেছে ৩০ শতাংশ সংস্থা। এমনকী করোনার কারণে মুনাফা বা লাভের টাকা কমেছে বলে যারা দাবি করছিল, তাদের সংখ্যাও গত তিন মাসে ধাপে ধাপে নেমে এসেছে। এপ্রিল, মে এবং জুন মাসে সেই হার ছিল যথাক্রমে ৭৯, ৭৪, ও ৬৮ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আশ্বাস দিয়েছিল, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলি যে একইসঙ্গে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে, এবার তার প্রমাণ মিলল আইআইএমের সমীক্ষায়। সমীক্ষাটির পূর্বাভাস, আরও ভালো ব্যবসার দিকে এগবে দেশ। এবং দ্রুত।