শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
শনিবারের স্বাস্থ্য বুলেটিন অনুযায়ী, করোনা পর্বের প্রথম দিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার পিপিটি কিট সরবরাহ
করেছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও সংস্থাকে। শুরুর দিকে পিপিই’র দামও ছিল বেশ চড়া। ৭০০, ৯০০, ১০০০ এমনকী ১২০০ টাকাও খরচ পড়েছে পিপিই পিছু। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তখন দাম নিয়ে অত ভাবার সময়ও ছিল না। যেভাবে হোক স্বাস্থ্যকমর্দের কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।
রবিবার দপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানিয়েছে, পিপিই বাবদ প্রথম ক’মাসে মোট ১০০ কোটি টাকা খরচ করা ছাড়াও, করোনা যোদ্ধাদের জন্য অপরিহার্য এই সরঞ্জাম কিনতে এখন মাসে রাজ্য সরকারের প্রায় ১৬-১৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। অবশ্য আগের থেকে পিপিই’র দাম কমেছে। এখন সর্বনিম্ন ৪৪২ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা দামের পিপিই কিনছে সরকার। মাসে লাগছে প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ পিপিই। এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, পিপিই খাতে আমরা এখনও পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করেছি। এটা জরুরি খরচ। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সরকার ২৩ লক্ষ ৬০ পিপিই’র বরাত দিয়েছে। ১৫ লক্ষ ২৫ হাজার হাতে পেয়েছে এবং সরবরাহও করা হয়েছে। এখন আসা বাকি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার পিপিই। এখন রোজই পিপিই ভর্তি গাড়ি ঢুকছে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর্স, বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোরসহ স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভিন্ন মজুতখানায়। শুক্র থেকে শনিবারের মধ্যে ১৪০২০ পিপিই হাতে এসেছে সরকারের। একইসঙ্গে বন্টনের কাজও চলছে। ফলে স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষোভ আগের থেকে অনেকটাই কমেছে।