শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
রাজ্যের জেলা বিচারকরা এবং পকসো আদালতগুলি জানিয়েছে, অত্যাচারিত শিশুদের দেরিতে আদালতে হাজির করা বা তাদের জবানবন্দি নেওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ তদন্তকারী অফিসার গাফিলতি করছেন। বেঞ্চের নির্দেশ, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের আদালতে পেশ করে জবানবন্দি নেওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত শেষ করা বা চার্জশিট পেশ করায় দেরি যাতে না-হয়, তাও নিশ্চিত করবেন এসপি’রা। কোচবিহারের পুলিস সুপার ২২ জুনের রিপোর্টে জানান, ৪০টি শিশু উদ্ধার হলেও একটিও এফআইআর হয়নি। তারই প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ বেঞ্চ ১ জানুয়ারি থেকে ২২ জুনের আগে পর্যন্ত এমন সব মামলায় পুলিস কী পদক্ষেপ করেছে, তা রিপোর্ট আকারে জমা দিতে বলেছে। ওদিকে, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডগুলির ম্যাজিস্ট্রেট ও ভিজিটর রিপোর্টে জানানো হয়, তাঁদের কাজের সুবিধার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বলতে কিছুই প্রায় নেই। বেঞ্চ এমন ১০টি ঘাটতি চিহ্নিত করে বলেছে, এর ফলে আখেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের ৭৫টি শিশু কোভিড-১৯ আক্রান্ত। অ্যাসিম্পটোম্যাটিক আরও ৪৩টি শিশু রোগাক্রান্ত বলে পরীক্ষায় ধরা পড়েছিল। চিকিৎসায় সুস্থ হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য জানালে বেঞ্চ জানতে চায়, এমন পরিবারের শিশুদের কি ‘র্যাপিড টেস্ট’ করা হচ্ছে?
অন্যদিকে, বাগদা থানা সংক্রান্ত একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে দুই বছর বয়সের উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যা সম্পর্কে বেঞ্চ বলেছে, পুলিস কেমন তদন্ত করেছে, তা রিপোর্ট পেশ করে জানাতে হবে। তিন পাচারকারীর নাম দেওয়া সত্ত্বেও এবং মহারাষ্ট্র পুলিস হস্তক্ষেপ করার আগে পর্যন্ত ২০১৮ সাল থেকে কেন ওই থানা কিছু করতে পারল না, তা জানা দরকার। গত মার্চ মাসে আড়িয়াদহের সরকারি হোম ধ্রুবাশ্রম থেকে ১৩টি শিশু পালায়। দু’জন আত্মসমর্পণ করলেও বাকিরা অধরা। বেলঘরিয়া থানায় সেই সূত্রে নথিবদ্ধ মামলার তদন্ত সম্পর্কে অসন্তুষ্ট বেঞ্চ রিপোর্ট তলব করেছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি সৌমেন সেন-এর ডিভিশন বেঞ্চে মামলার পরবর্তী শুনানি ২ জুলাই।