শত্রুরা পরাভূত হবে। কর্মে পরিবর্তনের সম্ভাবনা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের জন্য ব্যয়-বৃদ্ধির যোগ আছে। কোনও ... বিশদ
সেই তালিকায় বাদ পড়েনি পশ্চিমবঙ্গও। কলকাতা জোনে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষে ১৫ জুন পর্যন্ত আয়কর আদায় হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা। গতবার তা ছিল ৬ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। আয়কর দপ্তরের কর্তারা বলছেন, চলতি বছরেই যে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দপ্তরকে পড়তে হল, তা নয়। গত আর্থিক বছরেও পরিস্থিতি মোটেই ভালো যায়নি। ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে মার্চ পর্যন্ত দেশে কর আদায় হয়েছে ১০ লক্ষ ২৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। তার আগের বছরের তুলনায় আট শতাংশ কম। যেহেতু দেশজুড়ে লকডাউন শুরু হয়ে যায় মার্চের শেষের দিকে, তাই কর জমা দেওয়ার তারিখও পিছিয়ে দেওয়া হয়। সময় বাড়লেও, আদায় তেমন বাড়বে না বলেই বিশ্বাস বিভাগীয় কর্তাদের।
এর সপক্ষে যুক্তি হিসেবে তাঁরা বলছেন, সরকারগত আর্থিক বছরের শেষের দিকে যতটা কর আদায় কম হবে বলে ভেবেছিল, বাস্তবে তার চেয়েও কম আদায় হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাজেটে একটি স্কিম আনে কেন্দ্র। তার নাম ‘বিবাদ সে বিশ্বাস’। করদাতাদের সঙ্গে যে মামলা মোকদ্দমা চলছে, সেগুলি কোর্টের বাইরে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয় ওই স্কিমে। আশা ছিল, ওই স্কিমে যে আদায় হবে, তা দিয়ে কম আয়কর আদায়ের খামতি ঢেকে দেওয়া যাবে। কিন্তু কোথায় কী! বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই প্রকল্প চালু করাও এখন বিশ বাঁও জলে।