বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
করোনার জেরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশে এবং বিশ্বে, তাতে কি আদৌ ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব? এর উত্তর পেতে সম্প্রতি ‘সদগুরু’ জগ্গি বাসুদেবের শরণাপন্ন হয়েছিল দেশের প্রথম সারির একটি বণিকসভা। দেশের তাবড় শিল্পকর্তারা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সত্যিই কি শিল্পে আবার জোয়ার আসবে? যদি আসে, কবে আসবে? উত্তর মিলেছিল, করোনা চলে গেলে শুধু যে ব্যবসা পুরোদমে সচল হবে, তা নয়। বরং বিশ্বের শিল্পসমৃদ্ধ দেশগুলির নজর পড়বে ভারতের উপর। চীনকে এড়িয়ে তারা এখানে বিনিয়োগ করতে চাইবে। তাতে শুধু যে বড় সংস্থাগুলি লাভবান হবে, তা নয়। ছোট সংস্থাগুলিও সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারবে। শুধু শিল্প সংস্থাই নয়। দেশের কর আদায় যেভাবে কমছে, তার থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে, তার হদিশ পেতেও সদগুরুর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন আয়কর এবং পরোক্ষ কর বিভাগের শীর্ষকর্তারা।
দেশীয় ব্যবসায়ী বা ট্রেডারদের অন্যতম বড় সংগঠন দি কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স-এর সদস্যদের মন চাঙ্গা করতে আসরে নামছেন শিব খেরা। ‘ইউ ক্যান উইন’-এর লেখক এখন গোটা বিশ্বে শিল্পকর্তাদের নানা পরামর্শ দিয়ে বেড়ান। তাঁর থেকে অনুপ্রেরণা পেতে মুখিয়ে আছেন ব্যবসায়ীরা। এই সংগঠনের এক কর্তার কথায়, আমাদের সংগঠনের আওতায় আছে এমন ছোটখাট দোকান, যারা ব্যবসায় ইতিমধ্যেই বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে। কীভাবে সেই লোকসান সামলে ওঠা সম্ভব হবে, দোকান মালিকরা তা বুঝতে পারছেন না। ক্রমশ মনোবল হারাচ্ছেন তাঁরা। আমরা সবাইকে বলেছি, ওয়েবিনারের মাধ্যমে ওই অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে। শিব খেরার কথায় তাঁরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখবেন বলেই আমাদের আশা।
কলকাতার একটি নামজাদা ভোগ্যপণ্য নির্মাতা সংস্থা ইতিমধ্যেই তার কর্মীদের মনোবল অটুট রাখতে এবং মানসিকভাবে সবল থাকতে নানা পরামর্শ দিয়ে চলেছে। পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে সেই কাজ করানো হচ্ছে। আরও একটি শিল্প সংস্থার কর্তা ঋষভ কোঠারি বলেন, আমরা শুধু ভোকাল টনিকই নয়, অনলাইনে সেই আলোচনাও করছি, যেখানে যোগবলে ভালো থাকা যায়। এই অস্থির সময়ে মেডিটেশন কতটা গুরুত্বপূর্ণ, যোগব্যায়াম মনকে কতটা স্থির ও খুশিতে ভরে রাখে, সেই বিষয়ে ক্লাস চলছে, হাতে হাতে উপকারও মিলছে।