বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশ পুলিসের সন্ত্রাস দমন শাখার (এটিএস) কাছ থেকে এই সতর্কবার্তা আসার পর বড় ধরনের অপারেশনে নামছে সিআরপিএফ। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা। এমনকী বাংলা লাগোয়া ওড়িশা সীমান্তেও হামলার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস। মাওবাদীদের ফোনে আড়ি পেতে তারা জানতে পেরেছে, ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম ও খরসওয়ান জেলায় হামলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। লকডাউন পর্বে এই এলাকায় মাওবাদীদের একাধিক গোষ্ঠীর সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এদের মধ্যে ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ী এলাকার পুরনো একটি স্কোয়াডও রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা ছাড়াও বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করেছে তারা।
গোয়েন্দরা বলছেন, কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত সংলগ্ন ধলভূমগড়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছে মাওবাদীরা। অপারেশন কীভাবে কার্যকর হবে, তা ওই বৈঠকেই শীর্ষ নেতারা ঠিক করে দিয়েছে। টহলদারির সময় গুলিবর্ষণ বা মাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আঘাত করার ছক কষা হয়েছে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০-২৫ জনের একটি দল হামলা চালাবে। মূলত বাহিনীর থেকে অস্ত্র লুট করাই তাদের উদ্দেশ্য।
এই সতর্কবার্তা মেলার পরেই গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিস, কাউন্টার ইনসার্জেন্সি ফোর্স এবং রেল পুলিসকে। কেন এই হামলার পরিকল্পনা? গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, আসলে মাওবাদীদের অস্ত্রভাণ্ডার ও তহবিলে টান পড়েছে। শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজ্যে ধরা পড়ে গিয়েছে। এরাজ্যে সংগঠন ভেঙে চুরমার। তবে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের কিছু জায়গায় তাদের অস্তিত্ব এখনও রয়ে গিয়েছে। সেটাই জানান দিতে মরিয়া মাওবাদীরা। পশ্চিমবঙ্গের সীমানা লাগোয়া জেলায় সন্ত্রাসের পরিবেশ ফিরিয়ে, তারা জঙ্গলমহলে হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে চাইছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা।
তাঁরা বলছেন, অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক এই সময়কে বেছে নেওয়া হয়েছে। কারণ, করোনা পরিস্থিতিতে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সদস্যদের একাধিক সুরক্ষাবিধি মেনে ডিউটি করতে হচ্ছে। একসঙ্গে বেশি জওয়ানকে টহলদারির কাজে নামানো যাচ্ছে না। বাহিনীর সদস্যরা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। সরকারি গাইডলাইন মেনে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া জওয়ানকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে অন্য সব বাহিনীর মতোই গ্রামাঞ্চলে প্রচারে নেমেছে সিআরপি। আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে মাস্ক-স্যানিটাইজার বিলি এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজও করছে তাদের মেডিক্যাল ইউনিট। গোয়েন্দাদের অনুমান, মাওবাদী স্কোয়াডের কয়েকজন সদস্য কোনও গ্রামে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর অছিলায় ঢুকে ব্যস্ত রাখবে জওয়ানদের। আর বাকিরা হামলা চালাবে। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই সতর্কবার্তা এটিএসের।