এমপি ল্যাডের অর্থ খরচ বন্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তকে অবিচার বলেই তোপ দাগল কংগ্রেস। দেশ অর্থনৈতিক ইমার্জেন্সির দিকেই যাচ্ছে মন্তব্য করে দলের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বললেন, এমপি ল্যাডের টাকা খরচ বন্ধ মানে আদতে ভোটারদের প্রতি অবিচার। ওই টাকায় এলাকার উন্নয়ন হয়। তাই করোনা মোকাবিলায় বেতন কাটুন, কিন্তু এমপি ল্যাডের খরচ বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়টি সরকার পুনর্বিবেচনা করুক বলেই দাবি করেছেন অধীরবাবু। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও বলেছেন, এভাবে দু’বছর এমপি ল্যাডের টাকা বন্ধ করা হলে এলাকার উন্নয়ন আটকে যাবে। অন্যদিকে, দলের মত এখনও জানা না গেলেও রাজ্যসভার তৃণমূল এমপি সুখেন্দুশেখর রায়ের প্রশ্ন, বিচারপতি সহ কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসার যাঁরা দু’ লক্ষ টাকার বেশি বেতন পান, তাঁদের বেতন থেকেও কেন ৩০ শতাংশ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল না?
এদিকে, জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ হাজার ৮৭৫ কোটি বকেয়ার পাশাপাশি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের রাজস্ব ঘাটতির পাওনা প্রসঙ্গে আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। চিঠিতে তিনি বলেছেন, এপ্রিল থেকে জুন, তিন মাসের ৫ হাজার ১৩ কোটি টাকা পাবে রাজ্য। প্রতি মাসে ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকা পাওনার মধ্যে এপ্রিলে মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে অমিতবাবু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে লিখেছেন, করোনা মোকাবিলার এই সময়ে অবিলম্বে রাজ্যের যাবতীয় পাওনা মেটানো হোক।