কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে হাঁপানি, একজিমার মতো রোগ হতে পারে। ভারতের মতো দেশে সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কারণ এখানকার পরিবেশ এবং মানুষের জীবনশৈলীর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। শ্বাসনালীর সঙ্গে দূষিত হাওয়া-বাতাস প্রবেশ করলেই শরীরের মধ্যে একটা অস্বস্তি তৈরি হয়। বাসা বাঁধতে পারে কঠিন রোগ। বিশেষ করে অ্যালার্জিপ্রবণ মানুষের মধ্যে তার প্রবণতা বেশি। কিন্তু শুধু যে এমন ধুলো গেলেই এই রকম অবস্থা হয়, তা মানতে রাজি হননি অনেকে। এ নিয়ে সেভাবে কোনও গবেষণাও হয়নি। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কী এমন রয়েছে এই বাতাসে, যা থেকে এই রকম রোগ তৈরি হতে পারে।
জুলজি বিভাগের ওই অধ্যাপকের গবেষণার পর দেখা যায়, এই ধুলোবালির মধ্যে এক বিশেষ প্রজাতির মাইট বা মাকড় রয়েছে। তারা ‘ডার্মাটোফাগোইডস’ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এক বিশেষ ধরনের মাইট। চলতি ভাষায় যাকে ডাস্ট মাইটস বলা হচ্ছে। কলকাতার পরিবেশে এই কীটের উপস্থিতির হার অনেক। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে বাতাসে যে পরিমাণে এই মাইটের উপস্থিতি রয়েছে, তার চেয়ে বেশি পাওয়া যায় বাড়ির ভিতরেই। গৌতমবাবু বলেন, বিছানা হচ্ছে তাদের প্রিয় বাসস্থান। তাছাড়া বালিশ, কম্বল, কার্পেটের মতো জায়গায় ঘাঁটি গেড়ে থাকে তারা। আগের দিনে যে লেপ বা কম্বল ব্যবহার হতো, তার পরিবর্তে এখন ফোমের কম্বলকেই বেশি পছন্দ করছেন সাধারণ মানুষ। এগুলিতে কোনও ওয়াড় বা কভার থাকে না। ফলে নিয়মিত এই কম্বল ধোয়া হয় না। তাছাড়া এই মাইটসের প্রধান খাদ্য মানুষের চামড়া। বিছানায় সেই খাদ্যের উপাদান তারা পায়। তাই বিছানা, বালিশ এদের প্রিয় জায়গা। এরা রাতের বেলায় বেশি সক্রিয় হয়। বিছানায় এদের সংস্পর্শে আসলেই হাঁপানির রোগীদের টান ঘুমের মধ্যেই বেশি ওঠে।
কলকাতায় অ্যালার্জি, অ্যাজমায় আক্রান্ত রোগীদের একটা বড় অংশ রয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ধুলো-মাইটসের কারণেই তাঁরা ওই রোগে ভুগছেন। রাজ্যের ১৪টি জেলায় গবেষণা চালানো হয়। তাতে এই কীটের ৬৮ রকমের প্রজাতির সন্ধান পাওয়া যায়। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কলকাতাতেই মিলেছে ৪৭ রকমের মাইট। বিশ্বে যত রকমের মাইটের সন্ধান মিলেছে, তার বেশিরভাগই মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তবে গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে, ২৫০ ধরনের মাইট কিন্তু মানুষের স্বাস্থ্যের উপর বড়সড় প্রভাব ফেলে। তার মধ্যে এই ডাস্ট মাইট অন্যতম। মানুষ তাদের জীবনশৈলী পরিবর্তন করলে এই মাইটসের প্রভাব থেকে রেহাই পাবে।এমন মত গবেষকমহলের।