কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলা থেকে কমপক্ষে ১০টি করে প্রোডাক্ট যাতে ই-মার্কেটে তোলা যায় তার উদ্যোগ নিতে হবে। তার মধ্যে ব্যক্তিগত ভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের ক্ষেত্রে ৫টি এবং দলগতভাবে ৫টি প্রোডাক্ট থাকবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিজ নিজ জেলার ভালো মানের উৎপাদিত সামগ্রী বাছাই করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ডিআরডিসির বাঁকুড়া জেলা আধিকারিক পার্থপ্রতিম সাধুখাঁ বলেন, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রী অনলাইনে বিক্রির জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে উদ্যোগ হচ্ছে বলে শুনেছি। তবে এখনও পর্যন্ত এনিয়ে বিস্তারিত নির্দেশ পাইনি। বর্তমানে গোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন শিল্প সামগ্রী বিক্রির জন্য সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন মেলায় পাঠানো হয়। তবে ‘গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট’(GeM) চালু হলে গোষ্ঠীর তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রী অনলাইনে বিক্রিতে সুবিধা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় মোট ৩৭হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। তার সঙ্গে ৪লক্ষ ২০হাজার মহিলা সদস্য যুক্ত রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই চাষবাস ও পশুপালনের উপর বেশি গুরুত্ব দিলেও বেশকিছু গোষ্ঠী হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিশেষ করে পোড়া মাটির গয়না, টেরাকোটা, শালপাতা, বাঁশ ও বেত প্রভৃতি রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওইসব গোষ্ঠী সদস্যদের জেলা ও রাজ্য স্তরে নানা মেলায় সরকারি খরচে স্টলের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু, তা সারাবছর হয় না। শীতের সময় মেলা বেশি হয়। তাই ওই সময় গোষ্ঠীর সদস্যরা শিল্পকর্ম বিক্রি করতে পেরে দু’টো পয়সা রোজগার করতে পারেন। কিন্তু, বাকি সময় সেই সুযোগ না থাকায় স্থানীয় মার্কেটের উপর ভরসা করতে হয়। স্থানীয়স্তরে হস্তশিল্পের তেমন বাজার না থাকায় অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। তাই অনলাইনে যাতে গোষ্ঠীর তৈরি শিল্পকর্ম বিক্রি করা যায় তার জন্য সরকারের তরফ থেকে একটি ই-মার্কেট খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাতে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎপাদিত শিল্পকর্ম যাতে স্থান পায়, তার জন্য প্রশাসনিক স্তরে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আধিকারিকরা বলেন, বর্তমানে মানুষের মধ্যে অনলাইনে কেনাকাটার প্রবণতা বেড়েছে। সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে যাতে অনলাইনের মাধ্যমে গোষ্ঠীর তৈরি শিল্পকর্ম বিক্রি করা যায় তার জন্য গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিষ্ণুপুরের একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য সুমিত্রা খাঁ বলেন, আমরা মাটির গয়না তৈরি করি। তা স্থানীয় বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করি। সরকারি খরচে বাইরেও বিভিন্ন মেলায় স্টল বসানোর সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়। সেখানে যাই। তবে বর্তমানে অনলাইনে সবধরনের জিনিস কেনাটাকায় মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু, আমাদের পক্ষে কোনও সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষ থেকে সেই ব্যবস্থা করলে আমরা খুব উপকৃত হব।
সোনামুখীর একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য রীনা চক্রবর্তী বলেন, অনলাইনে বিক্রি করার সুযোগ পেলে খুবই সুবিধা হবে।