কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
দিল্লির উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে গতকাল তড়িঘড়ি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তখনই ঠিক হয়েছিল, আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করা হবে। সেই মতো এদিন সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, পি চিদম্বরম, এ কে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খাড়গে, আনন্দ শর্মা সহ ১১জন নেতানেত্রী রাষ্ট্রপতিভবনে যান। রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন স্মারকলিপি। যেখানে সরকারকে রাজধর্ম পালনের কথা মনে করিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছে কংগ্রেস।
সাক্ষাতের পর সোনিয়া গান্ধী বলেন, উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যেভাবে হিংসা ছড়িয়েছে, পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে, নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তা ভাবা যায় না। চারদিন পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, এত বড় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল, অথচ দিল্লি পুলিস ঠিক মতো হালই ধরতে পারল না। সরকারও হাত গুটিয়ে বসে ছিল বলেই অভিযোগ তুলে সোনিয়া গান্ধীর প্রশ্ন, সংঘর্ষ মোকাবিলার প্রশ্নে সরকার কেন দিশাহীন?
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে পাশে নিয়ে সোনিয়া গান্ধী আরও বলেন, দিল্লির সংঘর্ষ আর হিংসার ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যর্থ। তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করেননি। তাই তাঁর ইস্তফাই একমাত্র পথ। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতিকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন করেছি বলেও জানিয়ে দেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোনিয়া গান্ধীর সওয়াল, হিংসা ছড়াক সেটাই কি চেয়েছিল সরকার? তা নাহলে রবিবার রাতে কেন পর্যাপ্ত পুলিস মোতায়েন করা হল না? ওদিকে, বিজেপির মন্তব্য, কংগ্রেস দিল্লির ইস্যুটি নিয়ে অহেতুক রাজনীতি করছে। এ ব্যাপারে আজ সোনিয়ার জবাব, বিজেপিকে যা ইচ্ছা তা বলতে দিন। মানুষ দেখছে কী হচ্ছে।