কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনের উপর রামপুরহাট স্টেশন। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই স্টেশনের একটা সময় পরিকাঠামোর যথেষ্ট অভাব ছিল। এই স্টেশন ব্যবহার করে তারাপীঠে হাজার হাজার পুণ্যার্থী যাওয়া আসা করেন। এছাড়া মহকুমা শহরে এই স্টেশন হওয়ায় আশপাশের শহর ও গ্রামাঞ্চলের মানুষ এখান থেকে ট্রেন ধরে নিজ নিজ গন্তব্যস্থলে আসা যাওয়া করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই রেল স্টেশনের উন্নয়নে জোর দেন। কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে তারাপীঠ মন্দিরের আদলে স্টেশনের মূল প্রবেশদ্বারে ১২১ফুট উচ্চতার নির্মাণ কাজ করা হয়। মন্দিরের টেরাকোটা কাজের হুবহু ছাঁচ বসিয়ে একেবারে তারাপীঠ মন্দিরের রূপ দেওয়া হয়। যাতে স্টেশনে নেমেই পুণ্যার্থীদের মধ্যে ধর্মীয় আবেগ তৈরি হয়। পর্যটকদের অনেকেই সেখানে দাঁড়িয়ে সেল্ফি তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই স্টেশন-ব্লিডিং সংস্কার হওয়ায় ঐতিহ্যবাহী স্টেশনের রূপ পায়। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলি ভেঙে পড়তে শুরু করে। যা নিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়। যাত্রীরাও এনিয়ে প্রায়শই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু, কর্ণপাত করা হয়নি বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
বর্ধমান স্টেশনের সামনের অংশ ভেঙে পড়ার পর টনক নড়ে রেলকর্তাদের। সেইমতো বৃহস্পতিবার থেকে রামপুরহাট স্টেশন সংস্কারের কাজ শুরু হল। রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজার পুস্কর কুমার বলেন, মন্দিরের আদল থেকে নির্মাণকাজ ভেঙে পড়ছিল। যে কোনও সময় যাত্রীদের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিন তারামায়ের কাছে পুজো দিয়ে পরিবার নিয়ে মা তারা এক্সপ্রেস ধরে কলকাতায় ফিরছিলেন জগৎজীবন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিদ্যুৎ মণ্ডলরা। তাঁরা বলেন, স্টেশনে নেমে অবিকল মায়ের গর্ভগৃহ দেখে মন শান্তিতে ভরে ওঠে। এখানে মা না থাকলেও অনেকে প্রণাম করেন। মন্দিরে ভিড়ের ঠেলায় ঠিকমতো ছবি তোলা যায় না। অনেকে স্টেশনে এসে ছবি তোলেন। এমন একটি বিল্ডিংয়ের রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটি থাকা উচিত নয়। রেল সংস্কারের কাজ শুরু করায় আমরা খুশি।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, তারাপীঠ মন্দিরের আদলে তৈরি স্টেশন বিল্ডিংয়ের অংশ ভেঙে পড়ায় ভক্তদের মনে আঘাত লাগছিল। শুধু সংস্কার করে দায় সারলে হবে না। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
রামপুরহাট বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তারাপীঠকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মন্দিরের আদলে স্টেশনের রূপ দিয়েছিলেন। কিন্তু, রেলের অবহেলার জন্য সেই নির্মাণকাজ নষ্ট হচ্ছিল। অবশেষ সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় পুণ্যার্থীরা খুশি হবেন।