কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে তাদের কাছে খবর আসে, নিমতা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারবার চলছে। এখান থেকে তা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায়। নজরদারি শুরু হয় ওই বাড়িটির উপর। খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা যায়, এই কারখানার মালিক দুলাল সরকার। সে নিজেই বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করছে। তার কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে যাচ্ছে প্রাণকৃষ্ণ গায়েন নামে এক ব্যক্তি। তার মাধ্যমেই তা সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এরপরই ওই বাড়িতে হানা দেন সিআইডির অফিসাররা। দরজা খুলতেই দেখা যায়, সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অর্ধসমাপ্ত একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সেখান থেকেই মেলে দুটি কার্তুজভর্তি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র। ঘরের মধ্যেই পাওয়া যায় ড্রিল মেশিন, স্প্রিং সহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী। গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে।
ধৃতকে জেরা করে অফিসাররা জানতে পারছেন, প্রথমে সে একটি লেদ কারখানায় কাজ করত। সেখানে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বানানো হতো। তা তৈরি করত অভিযুক্ত দুলাল। সেখান থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে হাতেখড়ি হয় অভিযুক্তের। এরপর সে প্রথমে শ্রীদুর্গাপল্লিতে একটি ঘর ভাড়া নেয়। সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির ইউনিট খোলে। কয়েকমাসের মধ্যে ডেরা বদলে ওই এলাকাতেই অন্য একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। বাড়ির মালিককে দুলাল জানায়, হাসপাতালের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করবে সে। এর আড়ালে চলছিল বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজ। দুলাল সরাসরি খরিদ্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত না। আর এক অভিযুক্ত প্রাণকৃষ্ণকে এগুলি বিক্রি করত। এক একটি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা হত দু থেকে তিন হাজার টাকায়। মূলত সিঙ্গল শটার আর্মসই বেশি তৈরি হতো। তবে ফিনিশিং অত্যন্ত ভালো হওয়ায় দুলালের আগ্নেয়াস্ত্রের যথেষ্ট চাহিদা ছিল। জানা যাচ্ছে, তিন বছর ধরে এই ব্যবসা করছিল দুই অভিযুক্ত। এর পাশাপাশি প্রাণকৃষ্ণ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহ করত দুলালকে। ভোটের আগে বন্দুকের চাহিদা বাড়বে বলে বিপুল সংখ্যায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজ হচ্ছিল। কোথায় কোথায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র পাঠিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে সিআইডি।