কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
অধ্যক্ষরা বলেন, একেকটি সেমেস্টারে দু’মাস সময় পাওয়া যায় কি না সন্দেহ। কলেজের পঠনপাঠনের সময়ও দিনপ্রতি তিন-চার ঘণ্টা। সেটা হওয়া উচিত সাত ঘণ্টা। তাই সিলেবাস শেষ করা যায় না। তখনই ওঠে পিডির কথা। অনেকেই বলেন, শিক্ষকদের অধিকাংশই এটাকে নিখাদ ছুটির দিন হিসেবে কাটান। যদি পিডি দিতেই হয়, তাহলে সেটাকে শনিবার নির্দিষ্ট করে দেওয়া হোক। নাহলে তুলে দেওয়া হোক। শিক্ষামন্ত্রী অধ্যক্ষদের বলেন, আপনারা চালু করে দিন। দপ্তর দেখে নেবে। তখন অধ্যক্ষরা বলেন, এটা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতেই রয়েছে। তাই একতরফা এই সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারি না। সূত্রের খবর, তখনই পার্থবাবু এই সংক্রান্ত বিধি পরিবর্তনে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন। সন্তান প্রতিপালনের ছুটি (সিসিএল) যাতে সব শিক্ষক একই সময়ে না নেন, সে ব্যাপারে একটি রূপরেখা তৈরি করে দিতে বলেন আধিকারিকদের। পার্থবাবু সাফ জানান, সিবিসিএস যে উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল, যেভাবে চলা উচিত ছিল, তা চলছে না। এটা স্রেফ একটা সেমেস্টার পদ্ধতিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সেটাকে সঠিকপথে আনতে যা যা করবার তা করা হবে। কোনও কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে দিয়ে দিনের পর দিন চালানো যাবে না। আর কোনও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ যদি কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউয়ের বেড়া টপকে পূর্ণ সময়ের অধ্যক্ষ হন, তাহলে তাঁকে নিজের প্রতিষ্ঠানেই পোস্টিং দিতে হবে। বিষয়টি কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করকে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
চন্দননগর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হওয়া সত্ত্বেও পিডি তুলে দেওয়ার প্রস্তাবে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছেন দেবাশিস সরকার। তিনি অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলেন, বৈঠকে অনেক অধ্যক্ষের ইতিহাস বিস্মৃতি দেখে আমি অবাক। ’৯৮ সাল থেকেই পিডি রয়েছে। ইউজিসি নির্দিষ্টভাবে বলেছে, শিক্ষকদের কী কী করতে হবে। তা মানতে গেলে একদিন অতিরিক্ত ছুটি প্রয়োজন। কেউ ফাঁকি দিলে সেটা ঠিক নয়। কিন্তু খাতা দেখা, গবেষণা, প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য এর আবশ্যিকতা রয়েছে। অনেক সময় পরীক্ষা থাকে বলে পিডি শনিবার নির্দিষ্ট করে দেওয়াও অবাস্তব প্রস্তাব।