কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ
অমিত শাহ’র সফরের সময় কলকাতায় বিরোধী বিক্ষোভের এহেন হুংকার নিঃসন্দেহে প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে দিল্লির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে তাতে ওইদিন এই ধরনের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের গোলমাল বাধার সম্ভাবনা তারা উড়িয়ে দিচ্ছে না। এজন্য দমদম বিমানবন্দরসহ শহরে শাহের গন্তব্যস্থলগুলির আশপাশে বাড়তি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখার পাল্টা পরিকল্পনা তারাও করতে চলেছে।
বামেদের সম্ভাব্য বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা এদিন জানিয়েছেন সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, পুলিসকে নিষ্ক্রিয় রেখে বা মদতদাতা হিসেবে কাজে লাগিয়ে দিল্লিতে গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে গেরুয়া বাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে তার জন্য অমিত শাহ’রা সম্পূর্ণভাবে দায়ী। গুজরাত মডেলেই রাজধানীতে এই নারকীয় ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তিন ডজন মানুষের নৃশংস মৃত্যুর পর বাংলার মানুষ তাঁকে স্বাগত জানাবে না। যদিও রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এত কাণ্ডের পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লাল কার্পেট অভ্যর্থনা জানাতে চাইছে। তবে বামপন্থীরা রবিবার শাহ’র সফরের বিরোধিতা করে রাস্তায় থাকবে। আমরা কোনও রাজনৈতিক রং বা ঝান্ডার কথা বলছি না। আমরা রাজ্যের সব দল ও সংগঠনের সমর্থক শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে ওইদিন এই প্রতিবাদে শামিল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এমনকী, তাদের সরকার মূক ভূমিকা পালন করলেও তৃণমূলের সাধারণ সমর্থকদের কাছেও আমাদের এই আহ্বান থাকছে। নকশালপন্থী সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষও এদিন জানান, রবিবার তাঁদের ছাত্র-যুবরা মোদির সফরের মতো এবার ‘গো ব্যাক অমিত শাহ’ স্লোগান মুখে বিমানবন্দরসহ শহরের কিছু জায়গায় বিক্ষোভে শামিল হবে।
বামেদের সঙ্গে না হলেও তাঁর জমিয়তে উলেমায়ে হিন্দ ওইদিন একই কর্মসূচি গ্রহণ করছে বলে এদিন জানিয়েছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, দলের ছাত্র-যুব সংগঠনকে একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মর্মে ছাত্র পরিষদের তরফে এদিন নোনাপুকুরের পথসভায় ঘোষণাও করা হয়েছে।