Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

পদবি বনাম ব্যক্তি, কংগ্রেসের নেতৃত্ব সঙ্কট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

তিনমূর্তি ভবনে শায়িত নিথর শরীরটা। পাশে দাঁড়িয়ে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর। নিষ্প্রাণ মুখটার দিকে তাকিয়ে স্থির হয়ে রয়েছে তার চোখ দুটো। ভবনের পরিবেশ ভারী হতে হতে প্রায় দম বন্ধ হওয়ার অবস্থা... ছেলেটি তার মৃত ঠাকুমার ভিজে গাল সবার অলক্ষে পরিষ্কার করে দিল। ঠাকুমাই তার নাম রেখেছিলেন রাহুল...। একটা না বলা বাঁধন ছিল তিনজনের মধ্যে... ইন্দিরা, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা। চোখে হারাতেন তাদের... অপারেশন ব্লু স্টারের পর আরও বেশি করে। গিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর। খবর পেলেন, স্কুল থেকে ফেরার সময় রাহুল-প্রিয়াঙ্কার গাড়ির ছোট একটা অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। ওড়িশার সফর কাটছাঁট করে সেই রাতের বিমানেই ফিরেছিলেন দিল্লি। ঘুমন্ত রাহুলকে দেখে নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন... না, ও ঠিক আছে। ইন্দিরা বেঁচে থাকাকালীন ছেলে রাজীব পর্যন্ত কখনও সক্রিয় রাজনীতিতে আসার কথা ভাবেননি। সোনিয়ার সঙ্গেও তাঁর একটা বোঝাপড়া ছিল... আমি দেশ চালাচ্ছি, তুমি সংসার চালাও। তাই সোনিয়া যখন কোমর বেঁধে রাজনীতিতে নামলেন, অনেকেই নাক সিঁটকেছিলেন। ভাবটা এমন, পদবিতেই শুধু গান্ধী। তার উপর বিদেশি। একে দিয়ে হবে নাকি? তাঁরা বোঝেননি, রাজনীতির প্রাথমিক শিক্ষাটা তাঁর হয়ে গিয়েছিল ইন্দিরা থাকার সময়ই। ওই সংসার চালাতে চালাতে। আর বাকিটা রাজীব হত্যার পরবর্তী ১০ বছরে শিখিয়েছে কংগ্রেসের ভেতরের হাওয়া-বাতাস। সোনিয়া একরকম স্থির করেই নিয়েছিলেন, রাহুল-প্রিয়াঙ্কাকে রাজনৈতিক পাঁক চক্রে পা রাখতে দেবেন না। অথচ, তা হয়নি...। এই এক একটা ঘটনা নিশ্চয়ই সেদিন কংগ্রেসের দীর্ঘ সময়ের সৈনিক এবং সেনাপতি মনমোহন সিংয়ের ছবির মতো চোখের সামনে ভাসছিল... অর্ডিন্যান্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছেন রাহুল গান্ধী। তাও কংগ্রেসের সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝে ঢুকে। কী ছিল তাতে? ২০১৩ সালের ১০ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ জারি করেছিল, দোষী সাব্যস্ত এমপি এবং বিধায়করা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। তারই ঢাল হিসেবে মনমোহন সিং মন্ত্রিসভা একটি বিল আনায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। জারি হয়েছিল অর্ডিন্যান্স। রাহুল গান্ধী যার পূর্ণ বিরোধিতা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা এবং সম্মানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জনসমক্ষে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন অর্ডিন্যান্সের প্রতিলিপি। তার পরের বছরই ছিল লোকসভা নির্বাচন। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের চোখে তখন আকাশ-কুসুম স্বপ্ন। রাহুল গান্ধীকে সভাপতি হিসেবে দেখার (তারও অবশ্য চার বছর পর দলের সভাপতি আসনে বসেন রাহুল)। বদলের পথে ছিল কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধী অসুস্থ। তিনি যে আর পেরে উঠছেন না, তা দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের শেষের দিকেই বোঝা যাচ্ছিল। মনমোহন সিং মৌন। তাছাড়া মনমোহনকে নেহরু-গান্ধী পরিবার, এমনকী কংগ্রেসের একটা বড় তাঁবেদার অংশও কখনও নেতৃত্বে দেখতে চায়নি। ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকলেও তিনি সেটা বুঝতেন। আর সেই অর্থে চেষ্টাও কখনও করেননি। নিজেই বলতেন, আমি অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার। আর সক্রিয় রাজনীতিতে প্রিয়াঙ্কার হদিশ নেই। হাল ধরতে রাহুল ছাড়া ছিলই বা কে?
সেই ২৭ সেপ্টেম্বরের পর ছ’বছর অতিক্রান্ত। রাহুল গান্ধী ২০১৭ সালে সভাপতি হলেন। পুরনোদের সরিয়ে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্বে আনার চেষ্টা করলেন। আবার ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে পর্যুদস্ত হওয়ার পর পদ ছেড়েও দিলেন। আর কংগ্রেস সেই তিমিরেই রয়ে গেল। শুধু কংগ্রেস বললে অর্ধেক বলা হবে। কারণ, বাকি অর্ধেক রাহুল নিজে। এখন শোনা যাচ্ছে, আগামী এপ্রিলের প্লেনারি অধিবেশনে নাকি রাহুল গান্ধী ফের কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরে আসবেন। ভিতরে ভিতরে এমনই চর্চা এবং ঘুঁটি সাজানো চলছে। এখানে দু’টো মোক্ষম বিষয় রয়েছে। প্রথমত, তিনি এলেন, পালিয়ে গেলেন, আবার ফেরার কথা ভাবলেন। রাহুল গান্ধী যদি ফের দলের সভাপতি হিসেবে ফিরেও আসেন, তাহলে কিন্তু নিশ্চিতভাবে এই খামখেয়ালিপনা সঙ্গে নিয়েই ফিরবেন। এমনিতেই মাঝে মাঝে তাঁর কয়েকদিনের জন্য উধাও হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। ছুটি কাটাতে। বেশ কঠিন সময়েও। তা সব মানুষই ছুটি চায়। এতে মন্দ কী? তবে নিন্দুকে তা নিয়ে কম রসিকতা করে না! সভাপতি থাকাকালীনও এমনটা হয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি দমে গিয়েছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। মাঝের কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করায় খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল কংগ্রেস। কিন্তু পরে আবিষ্কার করা গিয়েছে, তা রাহুলের জনপ্রিয়তার জন্য নয়। বরং এর নেপথ্যে ছিল বিজেপি-বিরোধিতা (যা মূলত বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেই চাক্ষুষ হয়েছে। লোকসভা ভোটে নয়)! কাজেই এই মানসিকতা আজ ডুবতে থাকা কংগ্রেসের বর্তমান (থুড়ি ভবিষ্যতের) পরিস্থিতির পক্ষে কি আদৌ কার্যকর হবে? দলকে নতুন তিনি কী দেবেন, যা আগে দিয়ে যেতে পারেননি?
দ্বিতীয় প্রশ্ন, দল সর্বসম্মতভাবে তাঁকে আবার সভাপতি হিসেবে মানবে তো? একদিকে হরিশ রাওয়াতের মতো নেতারা দাবি করছেন, রাহুলেরই সভাপতি হওয়া উচিত। আবার অন্যদিকে, শশী থারুরের মতো একাংশ বলছেন, সভাপতি নির্বাচন হওয়া দরকার। গান্ধী পরিবারের কাউকেই যে সভাপতি হতে হবে, তার মানে কী?
সেক্ষেত্রে দু'টি উপায় হতে পারে... ১) নির্বাচন হল। গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি হিসেবে ইনিংস শুরু করলেন। আর ২) রাহুল মাথার উপর থাকলেন। আর কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে অন্য কাউকে বসানো হল। এবার প্রশ্ন হল, কারা বসতে পারেন এমন আসনে? নাম আসছে শচীন পাইলট, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, অশোক গেহলট ও অবশ্যই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। এঁদের মধ্যে অশোক গেহলট ছাড়া বাকি তিনজনের ক্ষেত্রেই মাথার উপর বসে রাহুল ছড়ি ঘোরাতে পারবেন (তাতে অবশ্য কী কাজ দেবে বলা মুশকিল)। কিন্তু বর্ষীয়ান গেহলটের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হবে না। কারণ গেহলট পুরনো জমানার কংগ্রেসি নেতা, সোনিয়া গান্ধীর অনুগত এবং আহমেদ প্যাটেলের খাস লোক। কংগ্রেসের এই অংশটার সঙ্গে রাহুলের নয়া বাহিনীর খুব একটা বনিবনা নেই। সোনিয়া নিজেও রাহুলের রাজনৈতিক রকম-সকমে মারাত্মক ভরসা করেন বলে মনে হয় না। করলে রাহুল পদত্যাগ করার পর তিনি যখন অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে ফিরলেন, ছেলের বসানো লোকেদের সরিয়ে নিজের বিশ্বস্তদের পুনর্বহাল করতেন না!
তাই রাহুল গান্ধী যদি পদে ফিরে আসেন, সেই লড়াই আগের থেকে অনেক বেশি কঠিন হবে। শুধু তাঁর নিজের কাছে নয়, দলের কাছেও। সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হওয়ার পর অনেকে ভেবেছিলেন, যাক এবার হয়তো কংগ্রেস ধুলোটুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়াবে। আদৌ তা হয়নি। সোনিয়ার কাছে কোনও জাদুকাঠি ছিল না। কংগ্রেস তাই এখনও ধুঁকছে। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে দলের মধ্যের ফাটলও। পরের প্রজন্মের নেতারা মাঝে মাঝেই তোপ দাগছেন বর্ষীয়ানদের বিরুদ্ধে। বিরোধী হিসেবে সেই অর্থে কোনও জোরদার কর্মসূচি নেই। এরপরও তাদের টিকে থাকার একমাত্র কারণ হল, দলটার নাম কংগ্রেস। কিন্তু কতদিন? রাহুল গান্ধী হয়তো পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করবেন। ফিরে আসবেন ‘স্বমহিমায়’। তাও তিনি নরেন্দ্র মোদির যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারবেন না। তেমন কিছু হলে গত লোকসভা ভোটের আগেই একটা কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যেত। একের পর এক প্রকল্প-প্রতিশ্রুতির ঘোষণা রাহুল করেছেন। আর সবই বলতে গেলে ফ্লপ। এমনকী, গরিবদের জন্য ‘ন্যায়’ প্রকল্পও। সরকারে এলে রাহুল গান্ধী আদৌ কিছু করতে পারবেন, তা মানুষ বিশ্বাস করেনি। সেটা পরীক্ষিত। তাহলে কেন কংগ্রেস সেই পুরনো লাইনেই হাঁটবে? এই প্রশ্ন দলের অন্দরেই রয়েছে। এবং খুল্লামখুল্লা।
ইন্দিরা গান্ধী কংগ্রেস ভেঙে বেরিয়ে এসেছিলেন। প্রমাণ করেছিলেন, তাঁকে ছাড়া, গান্ধী পদবি ছাড়া কংগ্রেসের অস্তিত্ব নেই। তাই তাঁর দলই স্বীকৃতি পেয়েছিল মূল কংগ্রেস হিসেবে। রাহুল নামটা
ইন্দিরার দেওয়া হতে পারে... কিন্তু রাজনৈতিক ক্যারিশমা এই নামের নেই। অন্তত এখনও না।
অর্থাৎ, আগামী দিনে কংগ্রেস যাঁকেই নেতৃত্বে
আনবে, সেই সিদ্ধান্তই হবে পথনির্দেশক। নেতৃত্বে এমন সঙ্কট বজায় থাকলে কংগ্রেস কিন্তু ধীরে
ধীরে সাইনবোর্ডেই পরিণত হবে।
মোদি সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন।
25th  February, 2020
বিশ্ববাজারে ক্ষমতা হারাচ্ছে চীন
মৃণালকান্তি দাস

গত বছর গোটা দুনিয়ার অর্থনীতিকেই ধাক্কা দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্ক-যুদ্ধ। যার প্রভাবে বিভিন্ন দেশে বৃদ্ধির হার কমেছে। এরই সঙ্গে ইউরোপে যোগ হয়েছিল ব্রেক্সিট ঘিরে অনিশ্চয়তা।  
বিশদ

ঈশ্বরদর্শনে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের অষ্টমার্গ
বাবুলাল দাস

ঈশ্বরে মন এলে ক্রমে বুদ্ধি সুপথে পরিচালিত হয়। মন শুদ্ধ হয়ে ওঠে। শুদ্ধ মনে সদা শান্তি বিরাজ করে। শান্ত মনে ঈশ্বর অনুভব হয়। এসব কেবল শাস্ত্রেরই কথা নয়। এটিই অতি বাস্তব সত্য। শ্রীরামকৃষ্ণ তা হাতেকলমে দেখিয়ে দিয়েছেন। সংসারে থেকে নানান প্রলোভনে পড়ে আমরা তা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হই। শুদ্ধ মন কী জিনিস বুঝি না। তাই এত গোল। এত কষ্ট। ঠাকুর উপায় বলে দিলেন। একহাতে সংসার ধরো, অন্য হাতে ঈশ্বর।
বিশদ

25th  February, 2020
কুকথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠভরা বিষ ...
সন্দীপন বিশ্বাস

আচ্ছা, দুধ থেকে কি করোনা ভাইরাসের আশঙ্কা থাকে?
আচমকা শিবের প্রশ্নে একটু থতমত খেয়ে যান পার্বতী। একটু থেমে বলেন, এমন কথা বলছো কেন?  বিশদ

24th  February, 2020
মোদি সরকারের সবকিছুই জাতীয় স্বার্থে আর তার তালিকাটিও শেষ হওয়ার নয়
পি চিদম্বরম

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বারাণসীতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করার প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তগুলি জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন ছিল। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্ত্বেও আমরা এই সিদ্ধান্তগুলির পক্ষে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।’’ 
বিশদ

24th  February, 2020
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে পুরভোট কার্যত সেমিফাইনাল
হিমাংশু সিংহ

মাত্র এক বছর পরেই বিধানসভার ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে পরপর তিনবার বাংলায় ক্ষমতা দখলের সুবর্ণ সুযোগ। এই অবস্থায় শাসক তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের উচিত সংযত থাকা। সেইসঙ্গে গণ্ডগোল, রক্তপাত এড়ানোর সবরকম চেষ্টা করা। তাহলেই এরাজ্যের মানুষ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দ্বিধায় আরও একবার দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।
বিশদ

23rd  February, 2020
প্রার্থী নির্বাচনে সাহসী হলে পুরভোটে লাভ পাবে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস
তন্ময় মল্লিক

নির্বাচন মানেই পরীক্ষা। রাজনৈতিক দলের পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষা পুরসভা বা পঞ্চায়েতের হলে বিষয়বস্তু হয় উন্নয়ন, পরিষেবা ও সমস্যা। কিন্তু, এই ধরনের পরীক্ষায় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীর মুখ। আর এবার পুরভোটে তৃণমূলের কাছে প্রার্থী নির্বাচনই অগ্নিপরীক্ষা। তার জন্য তৃণমূল সহ রাজ্যবাসী তাকিয়ে আছে টিম পিকের দিকে।  
বিশদ

22nd  February, 2020
বিশ্বাসের অভাব
সমৃদ্ধ দত্ত

 বিগত তিন বছর ধরে ভারতের সিংহভাগ সাধারণ মানুষ নিজেদের সঞ্চয়ের টাকা জমা রাখছে বেসরকারি ব্যাঙ্কে। সরকারি তথা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে নয়। দেশের আটটি সরকারি এবং আটটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানা গিয়েছে। যার ফলশ্রুতি হল সরকারি ব্যাঙ্কে যে টাকা জমা রয়েছে তার সিংহভাগই আগে থেকে জমা হয়ে থাকা ফিক্সড ডিপোজিট।
বিশদ

21st  February, 2020
মুখ চাই মুখ
মেরুনীল দাশগুপ্ত

মুখ হয়তো অনেক আছে। কিন্তু, ঠিক সেই মুখটির দেখা এখনও মেলেনি। কোন মুখটি? যে মুখটি সৌজন্যে পরাক্রমে রাজনৈতিক কূটকৌশলে এবং অবশ্যই জনপ্রীতিতে পাল্লা দিতে পারে বাংলার একচ্ছত্র নেত্রীকে, ২০২১ বিধানসভার রণাঙ্গনে ছুঁড়ে দিতে পারে চ্যালেঞ্জ, জাগাতে পারে আর এক মহাবিজয়ের সম্ভাবনা। সেই মুখ কোথায় পদ্মশিবিরে? 
বিশদ

20th  February, 2020
বিপুল অভ্যর্থনা পেয়ে বিশ্বজয়ী বিবেকানন্দ
কলকাতায় বলেন, এ ঠাকুরেরই ‌জয়জয়কার
হারাধন চৌধুরী

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলেছিলেন, ‘‘নরেন শিক্ষে দেবে।’’ ঠাকুরের কথা ফলিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মানসপুত্রটি বেছে নিয়েছিলেন পাশ্চাত্যের মাটি। কারণ, যে-কোনও জিনিস পাশ্চাত্যের মানুষ গ্রহণ করার পরেই যে ভারতের মানুষ তা গ্রহণে অভ্যস্ত! স্বামী বিবেকানন্দের সামনে সেই সুযোগ এনে দিয়েছিল শিকাগো বিশ্ব ধর্ম মহাসভা।
বিশদ

19th  February, 2020
ট্রাম্পের ভারত সফর এবং প্রাপ্তিযোগের অঙ্ক 

শান্তনু দত্তগুপ্ত: সফর মাত্র দু’ঘণ্টার। আর তাতে আয়োজন পাহাড়প্রমাণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে কথা! তাই এতটুকু ফাঁক রাখতে নারাজ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি (বা বেসরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি)।  বিশদ

18th  February, 2020
টুকরে টুকরে গ্যাং-ই জিতল
পি চিদম্বরম

 গত ১১ ফেব্রুয়ারি লোকসভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত নিম্নলিখিত প্রশ্নোত্তরগুলি আনন্দের কারণ হতে পারত যদি না বিষয়টি বিজেপি নেতাদের (এই পঙ্‌ক্তিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্য মন্ত্রীরাও) দুঃখের ধারাবিবরণীতে পরিণত হতো: বিশদ

17th  February, 2020
স্বর্গলোকে মহাত্মা ও
গুরুদেবের সাক্ষাৎকার
সন্দীপন বিশ্বাস

 অনেকদিন পর আবার দেখা হল মহাত্মা এবং গুরুদেবের। মর্ত্যে দু’জনের প্রথম সাক্ষাৎ ঘটেছিল শান্তিনিকেতনে ১৯১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি। তারপর বেশ কয়েকবার তাঁদের দেখা হয়েছিল। কবিগুরু সবরমতী আশ্রমে গিয়েছিলেন ১৯২০ সালে। বিশদ

17th  February, 2020
একনজরে
লাহোর, ২৭ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): সিংহের ডেরায় ঘাস কাটতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল এক কিশোরের। ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের লাহোর সাফারি পার্কে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিলাল নামে ১৭ বছরের ওই কিশোর গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নেটে ব্যাট করতে ঢোকার আগে বাংলার ক্যাপ্টেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ একটা কাগজ ভিডিও অ্যানালিস্টের হাতে তুলে দিয়ে বললেন, ‘চোখ বুলিয়ে নাও। পরে এই ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: দিনহাটার পুরসভা এলাকায় লোকসভা ভোটে ভালো ফল করেছিল বিজেপি। পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে একটি বাদ দিয়ে বাকি সমস্ত ওয়ার্ডেই শাসক দল তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি।  ...

সংবাদদাতা, কাটোয়া: কাটোয়া শহরের স্টেডিয়াম মাঠ সংস্কারের কাজ শুরু করছে পুরসভা। বেহাল স্টেডিয়াম মাঠ সংস্কারের নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। ঐতিহ্যবাহী মাঠের চেহারা ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি ক্রীড়ামহল। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকায় মাঠটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মযোগ আছে। ব্যবসায় যোগ দেওয়া যেতে পারে। কোনও বন্ধুর ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

জাতীয় বিজ্ঞান দিবস
১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়
১৮৪৪: বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষের জন্ম
১৮৮৩: ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়
১৯২৮: ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন-এর ‘রামন এফেক্ট’ আবিষ্কার
১৯৩৬: জওহরলাল-পত্নী কমলা নেহরুর মৃত্যু
১৯৪৪: সঙ্গীতকার রবীন্দ্র জৈনের জন্ম
১৯৪৮ - ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে
১৯৫১: ক্রিকেটার কারসন ঘাউড়ির জন্ম
১৯৬৩: ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৮১ টাকা ৭২.৫১ টাকা
পাউন্ড ৯০.৯৬ টাকা ৯৪.২৩ টাকা
ইউরো ৭৬.৬৯ টাকা ৭৯.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৩,১৪০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪০,৯৩০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪১,৫৪০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৭,২০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৭,৩০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৫ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, (ফাল্গুন শুক্লপক্ষ) চতুর্থী। অশ্বিনী ৫৪/৫৮ রাত্রি ৪/৩। সূ উ ৬/৩/২৭, অ ৫/৩৫/১৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৪৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৫ গতে ৪/২৪ মধ্যে বারবেলা ৮/৫৬ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
১৪ ফাল্গুন ১৪২৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, পঞ্চমী, অশ্বিনী ৪৮/১৯/৪৪ রাত্রি ১/২৬/১৫। সূ উ ৬/৬/২১, অ ৫/৩৪/৪০। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/১৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে ৪/৫ গতে ৫/৩৫ মধ্যে
এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। কালবেলা ১০/২৪/২৮ গতে ১১/৫০/৩০
মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪২/৩৫ গতে ১০/১৬/৩৩ মধ্যে। 
মোসলেম: ৩ রজব 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মযোগে বিলম্ব ঘটবে। বৃষ: গৃহে কোনও শুভ কাজ হবার ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস১৮২৭: আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়১৮৪৪: বিখ্যাত ...বিশদ

07:03:20 PM

মধ্যাহ্নভোজে নবীন পট্টনায়কের বাড়িতে অমিত-মমতা-নীতিশরা 
ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক শেষে মধ্যাহ্নভোজে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ...বিশদ

03:51:00 PM

১৫০২ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:13:22 PM

দিল্লি হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ 

03:09:23 PM

১৪৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:04:02 PM