ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
বিধি অনুযায়ী, সব ধরনের প্রার্থীকে ওই অভিন্ন পরীক্ষায় বসতে হবে। কে কোন স্তরের জন্য পরীক্ষায় বসছেন, তা আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে। একজন প্রার্থী কোনও একটি স্তরের পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই ব্যাপারটা কতটা বাস্তবসম্মত হবে, তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতেই পারে। কারণ, টেটের পাঠ্যক্রম এনসিটিই’র গাইডলাইন মেনে তৈরি। উচ্চ প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট আবশ্যিক। কিন্তু মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে তার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তাহলে তারা কেন এই পরীক্ষায় বসবে? এই পরীক্ষাটি টেট-এর মর্যাদা পাবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। একই প্রশ্নপত্রে সব ধরনের প্রার্থী পরীক্ষা দিলে ‘কাট অফ’ মার্কস আলাদা আলাদা থাকবে কি না, সেটা এখনই জানা যাচ্ছে না। তবে, এই পরীক্ষা ওএমআর শিটে দিতে হবে। পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে।
পাশাপাশি মাতৃভাষা এবং ইংরেজির পরীক্ষা হবে। প্রতিটির জন্য ৫০ করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ, লিখিত পরীক্ষা হবে মোট ২০০ নম্বরের। এই লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার পর আর মৌখিক পরীক্ষা হবে না। টিচিং ডেমনস্ট্রেশন তো বটেই, কোনও পার্সোনাল ইন্টারভিউও হবে না। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতেই নিয়োগ করা হবে। শুধু ইন্টারভিউ নয়, কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও থাকছে না। জানা গিয়েছে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ধাঁচেই পোস্টিং দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, শিক্ষকদের নিজের জেলায় পোস্টিং দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সেই নীতিতেই চলা হবে। ফলে, আলাদা করে কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন হবে না। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিয়োগে দ্রুততা আনা, আইনি জটিলতা কাটানোর জন্য ইন্টারভিউ এবং কাউন্সেলিং পদ্ধতি তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনটি পরীক্ষা মিলিয়ে একটি করে দেওয়া নিঃসন্দেহে বড়সড় চমক।