ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
তরুণ মজুমদারের আবিষ্কার, হুগলির চন্দননগরের এক প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক পুত্র তাপস। ১৯৮০ সালে দাদার কীর্তি ছবিতে মহুয়া রায়চৌধুরীর বিপরীত ‘কেদার’ চরিত্রে আবির্ভাবেই বাজিমাত করেন তিনি। প্রায় চার দশক ধরে এখনও আধুনিক বাংলা মূল ধারার ছবিতে মাইল ফলক হয়ে রয়েছে দাদার কীর্তি। সাহেব, গুরুদক্ষিণা, পথ ভোলা, ভালোবাসা ভালোবাসা, অনুরাগের ছোঁয়া, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান-এর মতো প্রচুর বক্স অফিস হিট ছবির পাশাপাশি বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের ‘উত্তরা’তে ব্যতিক্রমী অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন তাপস।
বাংলা ছায়াছবির জগতে তখন তিনি মধ্য গগনে। উত্তর উত্তমকুমার যুগে তখন তাপস টালিগঞ্জের ব্যস্ততম নায়ক। ক্যারিয়ারের চূড়ায় তাঁর জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। সেই সময় স্বয়ং মমতার ডাকে কালীঘাটে এসে যোগ দিলেন তৃণমূলে। উল্লেখ্য, তখন বাম শাসনের বাঁধুনি বেশ পোক্ত। তৃণমূলের বয়স তিন বছরও হয়নি। এক দশকের মধ্যে রাজ্যে পরিবর্তন আসবেই, এমন প্রত্যয় ছিল না বিরোধী শিবিরেও। তবুও নিজের পেশাকে বাজি রেখেই মমতার ডাকে ২০০১ সালে আলিপুর কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়িয়ে সফল তাপস। পরে ২০০৬ সালে ফের একই কেন্দ্রের বিধায়ক হন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি যাত্রাপালাতেও তখন তাপসকে ঘিরে গ্রাম সমাজে উন্মাদনা। অভিনয় জগতের দাবি মিটিয়েও তাঁর নিয়মিত উপস্থিতি থাকতো বিধানসভায়। পরে ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে সংসদে পাঠান মমতা। পরপর দুইবার, ২০১৪তেও সহজ জয়ে সাংসদ হন তিনি। সাংসদ থাকার সময়েই রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ায়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই ভুবনেশ্বরে জেলে পাঠায়। তেরো মাসের কারাবাসে তাঁর অসুস্থতা বাড়তে থাকে। জামিনে মুক্ত হলেও তিনি লোকচক্ষুর আড়ালেই থাকতেন। সম্প্রতি, কন্যা সোহিনীকে দেখতে মুম্বইয়ে গিয়েছিলেন স্ত্রী নন্দিনীকে নিয়ে। এদিন ভোরে মুম্বই এয়ারপোর্টে অসুস্থ হয়ে পড়লে জুহুতে একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।