কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
প্রতি বছরের মতো এবারেও ২৬ জানুয়ারি সকালে রেড রোডে রাজ্য সরকার ও সেনাবাহিনীর যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান হচ্ছে। সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে অভিবাদন গ্রহণকারীর আসনে থাকবেন রাজ্যপাল। তবে নিয়ম বা প্রথা বলছে, রাজ্যপাল রেড রোডের অভিবাদন গ্রহণ মঞ্চে আসার অল্পক্ষণ আগে সেখানে একে একে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবসহ সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান এবং রাজ্য ও কলকাতা পুলিসের শীর্ষকর্তারা। গাড়ি থেকে নামার পর রাজ্যপালকে স্বাগত জানাতে এগিয়ে আসতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকেই। তাঁর পিছনে থাকেন বাকিরা। রাজ্যপাল অভিবাদন মঞ্চে পৌঁছনোর পর বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। তা শেষ হলেই আরম্ভ হয় কুচকাওয়াজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব। ঘণ্টাখানেকের অনুষ্ঠান শেষে ফের রাজ্যপালকে নমস্কার জানিয়ে বিদায় জানাতে গাড়ির কাছে এগিয়ে আসতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। দ্বিতীয় দফায় ফের দু’জনের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় রাজভবনে। সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীসহ গোটা মন্ত্রিসভা, বিধানসভার অধ্যক্ষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিদেশি কূটনীতিক এবং সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদের চা-চক্রে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। বিকেলের এই অনুষ্ঠানেও রাজভবনের পূর্ব প্রান্তের লনে রাজ্যপাল আসার আগে পৌঁছতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজ্যপাল আসার পর ফের পুলিস ব্যান্ডে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আরম্ভ হয় সংক্ষিপ্ত এই ‘টি-পার্টি’। ঘণ্টাখানেক পর রাজ্যপাল বিদায় নেওয়ার পর রাজভবন ছাড়তে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে।
সূত্রের খবর, এবারেও এই দুই অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোনওরকম ব্যতিক্রম ঘটছে না। তবে নবান্ন ও রাজভবনের কর্তাদের মধ্যে একটি প্রশ্নই বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, ধনকার-মমতার মধ্যে চূড়ান্ত সংঘাতের বাতাবরণে এবার মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থান কী হবে? তবে রাজ্যপালের তরফে চা-চক্রের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ যথাসময়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে। আমন্ত্রণপত্র পৌঁছেছে মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের কাছেও। বিবেককুমার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পর আধিকারিকরা অবশ্য মনে করছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণেই ২৬ জানুয়ারির কর্মসূচি এড়াতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, সেক্ষেত্রে অনুপস্থিতির নজির তৈরি করলে বিরোধী বা সমালোচকদের তরফে প্রবল শোরগোল ফেলার সুযোগ এসে যাবে। সাধারণতন্ত্র দিবসে সেই সংঘাতের আবহ স্তিমিত হওয়ার ইঙ্গিত মেলে কি না, এখন সেটাই দেখার।