গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ আগমনের সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
রাজভবন থেকে জারি করা বিবৃতিতে মমতার সঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, ফরওয়ার্ড ব্লকের আলি ইমরান রামজ, সিপিআইয়ের অশোক দিন্দা, আরএসপি’র বিশ্বনাথ চৌধুরী, বিজেপি’র মনোজ টিগ্গা এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ডঃ রোহিত শর্মা— বিধানসভায় প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলির মোট আটজন পরিষদীয় নেতানেত্রীকে ওই বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। ধনকারের এই উদ্যোগের পিছনে এখনই কোনও মতলব খুঁজতে নারাজ বাম ও কংগ্রেস শিবির। বিল নিয়ে জট কাটাতে শাসক-বিরোধী সব পক্ষকে নিয়ে তাঁর এই উদ্যোগকে এক অর্থে স্বাগতই জানিয়েছে তারা। তবে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি চূড়ান্ত থাকায় মান্নান এবং সুজনরা ওইদিন বৈঠকে হাজির থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। মান্নান দিল্লিতে এবং সুজন কেরলে দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকবেন ওইদিন। মমতার পাশাপাশি বিরোধী শিবিরের দুই প্রধান নেতা অনুপস্থিত থাকলে শেষ পর্যন্ত এই বৈঠকের গুরুত্ব অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কেন এই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকছেন রাজ্যপাল? আমন্ত্রণপত্রে তিনি লিখেছেন, গণপিটুনি এবং এসসি-এসটি কমিশন বিল নিয়ে জট কাটাতে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতেই এই বৈঠক ডাকছি। কারণ, এই দুটি বিল নিয়ে আমার তরফে রাজ্য সরকার ও বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে যে তথ্য চাওয়া হয়েছিল, তা আজ পর্যন্ত পাইনি। বিধানসভায় পেশ করার জন্য তাঁর কাছে পাঠানো এসসি-এসটি কমিশন বিল নিয়ে তিনি বলেছেন, বিভাগীয় সচিব একজন অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে আমার সঙ্গে এব্যাপারে দেখা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেক জাতীয় স্তরে এসসি এবং এসটি সংক্রান্ত দুটি পৃথক কমিশন থাকার পরও একই ধরনের একটি সংস্থা রাজ্যে কেন প্রয়োজন হচ্ছে, সে ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় ওই অফিসারদের কাছে। একইভাবে রাজ্যের মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার উদ্দেশ্যে এই বিল আনার কথা বলায় কে, কোন স্তরে তা দিয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা সেদিন এনিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। এজন্য তাঁরা কিছু সময় চান। পরিস্থিতির কোনও ব্যতিক্রম না দেখে এরপর মুখ্যসচিব এবং মুখ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু জবাব দূরের কথা, চিঠির প্রাপ্তিস্বীকারটুকুও করা হয়নি। অন্যদিকে, গণপিটুনি বিল নিয়ে কিছু আইনগত প্রশ্ন তুলে সম্মতি দেওয়ার আগে তা বিবেচনা করার জন্য বিরোধী বাম ও কংগ্রেস পরিষদীয় দলের তরফে আমার কাছে দরবার করা হয়। এনিয়ে নির্দিষ্ট দিনের অধিবেশনের যাবতীয় সংশোধিত নথি (প্রসিডিংস) বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে চাওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরও তা মেলেনি। এই অবস্থায় বিধানসভার সব পক্ষের নেতাদের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে এই অচলাবস্থা দূর করার পথ খুঁজতে ওই বৈঠক ডাকা হচ্ছে।