নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জাতি শংসাপত্র নিতে আর সরকারি দপ্তরে দরবার করতে হবে না। এখন হাতে হাতে স্মার্টফোন। এবার মোবাইল থেকেই যাতে এসসি, এসটি, ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা যায় এবং অনলাইনেই সেই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তরের পক্ষ থেকে পুরো শংসাপত্র ব্যবস্থাটিই অনলাইনে করার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। এর জন্য তৈরি করা হয়েছে নতুন সফটওয়্যার। তা প্রায় সম্পূর্ণ হওয়ার পথে বলে দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এটা হলে দ্বিতীয় প্রজন্মের শংসাপত্র প্রাপকদের অর্থাৎ সেই বাড়িতে আগে সেই শংসাপত্র ইস্যু হয়েছে, এরকম প্রাপকদের শারীরিকভাবে শংসাপত্র নিতে সরকারি দপ্তরে যাওয়ার দরকার হবে না। এখন রাজ্যে প্রায় ৯ লক্ষের বেশি এসটি, এসসি, ওবিসি শংসাপত্র ইস্যু করা হয়। প্রায় লক্ষ লক্ষ ছাত্র ছাত্রী উপকৃত হবে। তবে এর সঙ্গে হাতে হাতে অর্থাৎ অফলাইনে শংসাপত্র দেওয়ার ব্যবস্থাও চালু থাকবে। সেক্ষেত্রে প্রাপকদের সুবিধার জন্য পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে যাতে সেই শংসাপত্র প্রাপকরা সংগ্রহ করতে পারে রাজ্য জুড়ে তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন এমনিতেই শংসাপত্র নেওয়ার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়। এবার যেটা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা হল ডিজিটাল সিগনেচার সহ অনলাইনেই সেই সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে। এ বিষয়ে দপ্তরের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানান, আমরা গোটা ব্যবস্থাটিই অনলাইন করছি। একইসঙ্গে অফলাইনেও রাখছি। সেক্ষত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসগুলি থেকে যাতে এসসি, এসটি, ওবিসিদের শংসাপত্র বিতরণ করা যায় সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে উতত্তরবঙ্গে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের সেই বিষয়টি জানিয়েছি।
এমনিতে কাস্ট সার্টিফিকেট যাতে দ্রুত করা যায় সেই জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প করা হয় দপ্তরের পক্ষ থেকে। দ্রুত সার্টিফিকেট যাতে প্রাপকরা পায় সেই জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া অনলাইন করা হয়েছে। শংসাপত্র ইস্যু করেন মহকুমা শাসক। সার্টিফিকেট সরকারি দপ্তরে গিয়ে হাতেহাতে নিতে হয়। এ বিষয়ে দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, আমাদের সিস্টেম ডেভলপ হচ্ছে। নবান্নের অনুমোদন চূড়ান্ত হলে কবে থেকে তা হবে বলে দেওয়া হবে।