শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
জানা গিয়েছে, শিনজো আবের ভারত সফর নিয়ে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সঙ্গে জাপান সরকারের কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে এবার মোদি উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়ে যাবেন বলে ঠিক হয়। গুয়াহাটি ও ইম্ফলে তাঁদের কিছু কর্মসূচি প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে। তবে মণিপুরের মৈরাংয়েও শিনজো আবেকে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে মোদির। ঐতিহাসিক মৈরাংয়েই আইএনএ পতাকা তুলে নেতাজির স্বপ্নের আজাদ হিন্দ সরকার গঠিত হয়েছিল। সেখানে সুভাষচন্দ্রের স্মারকও রয়েছে। শিনজো আবেকে সেই স্মৃতিবিজড়িত স্থানটি দেখানোর খুব ইচ্ছা মোদির। এব্যাপারে জাপান সরকারের তরফেও তেমন কোনও আপত্তি তোলা হয়নি। এই আলোচনাতেই রেনকোজি মন্দিরে রক্ষিত চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষার প্রসঙ্গ ওঠে। সেক্ষেত্রে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কথাও হয়। সেই কমিটির তত্ত্বাবধানে ভারত ও জাপান ছাড়াও আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো তৃতীয় কোনও উন্নত দেশের আধুনিক ল্যাবরেটরিতে ওই চিতাভস্মের ডিএনএ পরীক্ষা করানো যেতে পারে বলেও আলোচনা হয়।
কেন্দ্রের তরফে এই ধরনের ভাবনার কথা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই নেতাজি অনুরাগী বহু মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। খোদ বসু পরিবারও এনিয়ে রীতিমতো উৎসাহিত। বসু পরিবারের মুখপাত্র চন্দ্রকুমার বসুও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। মোদি সরকারের এই ভাবনার কথা জানতে পেরে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য সমাধানের দাবিতে সরব হওয়া সুপর্ণ সতপথীও। তবে বসু পরিবার সূত্রের খবর, সরকার এবারও যদি এই পদক্ষেপ থেকে শেষমেশ পিছিয়ে আসে, তাহলে তারাই এবার এই পরীক্ষার পথে যাবে। এজন্য ইতিমধ্যে রেনকোজি মন্দিরের পুরোহিতের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তা সম্প্রতি সেরেও এসেছেন সুভাষের এক আত্মীয়।