শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
এদিন শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু এ খবর জানিয়ে বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে আমরা লালবাজারকে চিঠি দিয়ে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এই সমাপ্তি সমাবেশ করার কথা জানিয়েছি। কারণ, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অন্তত এক লক্ষ মানুষ লং মার্চ কর্মসূচির এই সমাপ্তি সভায় আসবে। সর্বাধিক মানুষকে মঞ্চ দেখার ব্যবস্থা করার জন্য এই জায়গাকেই আমরা বেছেছি। কিন্তু পুলিস আমাদের চিঠির কোনও লিখিত জবাব দেয়নি। তবে দিনকয়েক আগে মৌখিকভাবে জানিয়েছে, ট্রাফিক সমস্যার কারণে তারা ওখানে সমাবেশ করার অনুমতি দেবে না। কিন্তু বিগত বহু বছর ধরে ফি বছর ২১ জুলাই তৃণমূলনেত্রীর সমাবেশের ক্ষেত্রে পুলিস এই প্রশ্ন বা যুক্তি তোলে না। তাছাড়া হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে আগে বিজেপিও তাদের নেতা অমিত শাহকে এনে ওখানে সমাবেশ করেছিল। এই পরিস্থিতিতে আমরা অনেক সময় অপেক্ষা করার পর হাইকোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন আদালত কী বলে, দেখা যাক। উল্লেখ্য, ১১ তারিখের সমাবেশের জন্য গত বুধবার মঞ্চ বাঁধার জন্য ডেকরেটর সংস্থা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বাঁশ ফেললে পুলিস তাতে আপত্তি জানায়। পুলিসের আপত্তিতে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করা যায়নি সেদিন। তবে ঘটনাস্থলে পুলিসের সঙ্গে তাদের সেদিনের উত্তপ্ত কথোপকথনের ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখে উদ্যোক্তারা। মামলার জন্যই তারা এই কৌশল করেছিল বলে নেতৃত্বের দাবি।
এদিকে, অনাদিবাবুদের গলায় চ্যালেঞ্জের সুর শোনা গেলেও বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে সমাবেশ করার পরিকল্পনাও মাথায় রেখেছে নেতৃত্ব। তার প্রমাণ হিসেবে একই দিনে ওই জায়গাটিতে সভা করার জন্য কলকাতা জেলা সিটুর নামে সেনা ও পুলিস বাহিনীর অনুমতি নিয়ে রাখার কথা বলা হচ্ছে পুলিসের তরফে। সিটু নেতৃত্ব অবশ্য বলছে, ওটা ছিল তাদের একটা কৌশল মাত্র। কারণ, একই দিনে তাদের কোনও কর্মসূচির জন্য রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ব্যবহার করার অনুমতি আদায় করে তাদের সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করতে পারে তৃণমূল—অতীতের কিছু ঘটনার কথা মাথায় রেখে এমন আশঙ্কায় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউও বুক করে রাখা হয়েছে।