শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
এদিন অধিবেশন নির্ধারিত সময়, অর্থাৎ সকালে ১১টায় বসে। তার আগে এদিনের আলোচ্যসূচি ঠিক করতে সওয়া ১০টা নাগাদ অধ্যক্ষের চেম্বারে বসে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। বিরোধীরা এই বৈঠকে আগের মতোই বয়কট করে এদিন। সেই বৈঠকের পরই অধিবেশন কক্ষে অধ্যক্ষ এদিনের প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের কথা ঘোষণা করেন। এদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তরের জন্য নির্ধারিত ছিল। চলতি অধিবেশনে এখনও পর্যন্ত একদিনও এই দপ্তরগুলি নিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বের সুযোগ না পাওয়ায় অধ্যক্ষের এদিনের ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম-কং বিধায়করা। তাঁদের সেই ক্ষোভে ঘৃতাহুতি দেয়, পার্শ্বশিক্ষকদের ইস্যুতে যৌথভাবে আনা মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ হওয়ার সিদ্ধান্ত। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অবশ্য অধ্যক্ষের নির্দেশে প্রস্তাবটি পাঠ করার সময় বলেন, টানা ২২ দিন ধরে পার্শ্বশিক্ষকরা অনশন করছেন। একদা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতিমতো বেতন কাঠামো কার্যকর করার জন্য তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। অথচ সরকারের কোনও হেলদোল নেই। মনে হচ্ছে, সরকার যেন ওঁদের মৃত্যু কামনা করছে। সম্ভবত তাই এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে সদনে আলোচনার অনুমতি মিলছে না। এরপরই দুই শিবিরের বিধায়করা আসন ছেড়ে ওয়েলে নেমে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের হইচইয়ের ফলে সভার কাজে বারবার বিঘ্ন ঘটে। আধঘণ্টা পর তাঁরা ওয়াকআউট করলে সভার পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।
এদিন পরে সুজনবাবুর সঙ্গে একসুরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, কংগ্রেস সচেতক মনোজ চক্রবর্তী, আরএসপি বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীরা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, সংবিধান-প্রণেতা আম্বেদকরের মৃত্যুদিবস আজ রাজ্য বিধানসভার ইতিহাসে এক চরম কলঙ্কের দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল। অধিবেশন কীভাবে চালানো হচ্ছে, তা সবাই দেখছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা দপ্তরগুলির জন্য নির্ধারিত দিনেই আচমকা কেন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল হল, তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া গেল না। কেন পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন এবং এই দিনটিকে (৬ ডিসেম্বর) কালাদিবস হিসেবে পালন করে বাবরির ধ্বংসকারীদের শাস্তির দাবির মতো ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ দেওয়া হল না, তাও স্পষ্ট। অথচ তিন বছর আগে বিধানসভাতেই পাশ হয়ে যাওয়া পরিবহণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট ধুলো ঝেড়ে বের করে এনে তা নিয়ে একতরফা আলোচনা করে বিধানসভার মূল্যবান সময় নষ্ট করা হল।