শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
রাজ্যে ১ হাজার ২৫০টি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা রয়েছে। সেই সব এলাকায় দুর্ঘটনা কমাতে সেফটি অডিট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যেসব রাস্তায় বাঁক রয়েছে, সেখানে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। সেই দুর্ঘটনা কমাতে ক্র্যাশ বেরিয়ার লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রায় তিন হাজার ক্র্যাশ বেরিয়ার লাগানো হবে। তবে পূর্ত দপ্তর ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্য সড়কের সেফটি অডিট করে ফেলেছে। সেই রাজ্য সড়কগুলি হল, স্টেট হাইওয়ে ১, ২, ৫, ৬ এবং ১১ নম্বর। এখনও ২৪০০ কিমি রাজ্য সড়কের সেফটি অডিট বাকি। এর জন্য কনসালট্যান্ট নিয়োগ করতে টেন্ডার ডাকা হবে বলে পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত ৫ ডিসেম্বর দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত রোড সেফটি কমিটির বৈঠক হয়। সেই কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতি ছাড়াও আরও দু’জন রয়েছেন। বাকি দু’জনের মধ্যে একজন হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার। যিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। অন্যজন হলেন, পরিবহণ বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের তরফে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, পূর্তসচিব নবীন প্রকাশ, পরিবহণ সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম, এডিজি ট্রাফিক বিবেক সহায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই কমিটির সদস্যরা রাজ্যের পথ দুর্ঘটনারোধ নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বৈঠকে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য কী পদক্ষেপ করছে, তা তুলে ধরেন মুখ্যসচিব।
দিল্লি থেকে ফিরে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আরও সর্তক হওয়ার জন্য নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় আরও বেশি করে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’ প্রচার করতে বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে ‘সাইনেজ’ লাগাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬৫ স্টিকার লাগানো হয়েছে। আরও লাগাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গাড়ি চালকদের বিশ্রাম দিতে হাইওয়ের ধারে ‘রেস্ট শেড’ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেখানে চালকরা বিশ্রাম নেবেন। এক টানা যাতে চালকরা গাড়ি না চালান, তাঁর জন্যই এই ব্যবস্থা। যেখানে রাস্তা বাঁক নিয়েছেস সেখানে গার্ডওয়াল বা রেলিং দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগে যেভাবে হাম্প তৈরি করা হতো, তাও বদলাতে বলা হয়েছে। গাড়ির চালকদের চক্ষু পরীক্ষার ক্যাম্প করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০ হাজার চালকের চক্ষু পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। তাঁদের সরকারের তরফে চশমাও দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনা কমাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।