শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
এদিকে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিবৃতিকে তীব্র আক্রমণ করেন চন্দ্রিমাদেবী। তিনি বলেন, মালদহে কেউ ধর্ষণ হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু, উনি যেভাবে বাংলায় ধর্ষকদের রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কথা বলেছেন, তার কি কোনও নির্দিষ্ট তথ্য আছে? আমি এটা কোনওমতেই মানছি না। তিনি কি এটা দিয়ে উন্নাওয়ের ঘটনাকে ‘জাস্টিফাই’ করতে চাইছেন। যদিও এনকাউন্টার নিয়ে কোন স্পষ্ট মত প্রকাশ করতে চাননি চন্দ্রিমাদেবী। তিনি বলেন, যে নারকীয় ঘটনা ঘটেছিল, তার কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, বাংলায় লোকসভা ভোটে শাসক দলের ভরাডুবির সবচেয়ে প্রকট রূপ দেখা গিয়েছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। প্রতি বিধানসভা এলাকায় হেরে মুখ পোড়ানো শাসক দলের নেতারা উপনির্বাচনের জয়কে মৃত সঞ্জীবনীর মতো করে দেখেই ফের চাঙ্গা হয়েছেন। কিন্তু, আদৌ কি নেতারা সমর্থকদের উজ্জীবীত করতে পেরেছেন, তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল এদিনের জেলা মহিলা সম্মেলন। কারণ উপনির্বাচনে শাসক দলের জয়ের পর এটাই ছিল জেলাস্তরের বড় কর্মসূচি।
তবে এদিন ভিড়ের নিরিখে সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন তৃণমূল নেতারা। এদিন মহিলাদের ব্যাপক ভিড় শাসক দলের মুখের হাসি চওড়া করেছে। এনআরসি, সিএবি নিয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা ছাড়াও উন্নাওয়ের ঘটনা নিয়েও কেন্দ্রের শাসক দলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন চন্দ্রিমাদেবী। এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তেওয়ারি ছাড়াও জেলার সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি, জেলা পরিষদ সদস্য ও বিভিন্ন ব্লকের নেতারা হাজির ছিলেন। শেষ মুহূর্তে সভাস্থলে এসে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী মলয় ঘটকও।