শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাত্যহিক কাজের জন্যে শ্রমিকরা রোজ ১৯০ টাকা করে পান। একজন সুপারভাইজার কোন ওয়ার্ডে কত শ্রমিক লাগবে তা ঠিক করে অনুমোদন নেন। পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ডে এভাবেই প্রাত্যহিক কাজ চলে। এই কর্মীরা মূলত সাফাইয়ের কাজ করে থাকেন। যা নিয়ে চুঁচুড়া পুরসভায় সবচেয়ে বেশি অভিযোগ দীর্ঘবছর ধরে চলে আসছে। এদিন পুরসভার বাসিন্দা তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে সাফাই ঠিক করে হচ্ছে না। এদিন তিন নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। সেখানেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনপ্রতি কাজের শ্রমিকদের ডাকা হয়। দেখা যায় চারজন কাজ করছেন। অথচ পুরসভার হিসাবে ওই এলাকায় ২৮ জন শ্রমিক দেওয়া হয়েছে।
এরপরই পুরসভাকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়ে এবং সেখানে দাঁড়িয়েই পুর চেয়ারম্যান ওই সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করেছেন। কোনও সন্দেহ নেই এই ঘটনা অন্যত্রও ঘটতে পারে। চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা সব ওয়ার্ডে পৃথক পৃথক পরিদর্শন করব। এভাবে টাকা তছরুপের কোনও চক্র গজিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি দোষ প্রমাণ হয় সেই সময়েই পদক্ষেপ করা হবে। এদিন যেমন একজন সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করে নতুন একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নজরদারির অভাব প্রসঙ্গ এড়িয়ে পুর চেয়ারম্যান বলেন, সমস্যা নজরে এলেই পদক্ষেপ করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে ঘিরে। এদিন পূর্বঘোষণা মতো পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের হেমন্ত বসু কলোনিতে সকালে গিয়েছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান সহ একাধিক কাউন্সিলার ও চেয়ারম্যান পারিষদ। এদিন কলোনিতে গিয়ে মানুষের সমস্যা কথা তুলতেই সাফাই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। পুরকর্তারা জানান, প্রতিদিন এই ওয়ার্ডে ২৮ জন করে কর্মী কাজ করে। বাসিন্দারা জানিয়ে দেন তাঁরা পুরকর্মীদের দেখতেই পান না। এরপরই এদিন কাজে যুক্ত পুরসভার প্রাত্যহিক কাজের কর্মীদের তলব করা হয়। দেখা যায় মাত্র চারজন হাজির হয়েছে। অথচ পুরসভার অনুমোদন অনুসারে কর্মী থাকার কথা ২৮ জন। এই ঘটনা দেখে ক্ষুব্ধ বিধায়ক পুরকর্তাদের এর বিহিত করা নির্দেশ দিলে ওই এলাকা থেকেই সুপারভাইজারকে বরখাস্ত করা হয়। নতুন সুপারভাইজার নিয়োগও করে দেওয়া হয়। কিন্তু শাসকদলের নেতারা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলছেন, এতদিন ইচ্ছে করে নজর করেনি পুরসভা, না কি পুরসভার নজরদারি ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে।