শরীর-স্বাস্থ্যের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতির সম্ভাবনা। গুপ্ত শত্রুতার মোকাবিলায় সতর্কতা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষায় বিলম্বিত ... বিশদ
সাসপেনশন এখনও কেন হয়নি, সে ব্যাপারে অনুষ্ঠানেই পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করেন শিক্ষামন্ত্রী। কল্যাণময়বাবু জানান, সাসপেনশনের বিষয়টি অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে পাশ করাতে হবে। সেই বৈঠক সোমবার হবে। মন্ত্রী বলেন, পর্ষদের প্রশাসনিক কর্তা হিসেবে আপনি সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তারপর সেটা অ্যাডহক কমিটিকে জানিয়ে দিন। তাতে সম্মতি দিয়ে কল্যাণময়বাবু জানান, সেই মতোই এগনো হচ্ছে। মন্ত্রী এও জানতে চান, এরকম দিনপ্রতি ভাতার ভিত্তিতে কতজন কর্মী রয়েছেন এবং কতদিন ধরেই বা তাঁরা রয়েছেন। তাঁকে জানানো হয়েছে, এরকম কর্মী ২০০৬ সাল থেকে রয়েছেন। সংখ্যাটা প্রায় ৩৫০।
এদিকে জানা গিয়েছে, যে আর্থিক কেলেঙ্কারি আপাতত ২৬ লক্ষ টাকার কিছু বেশি, তা পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পর দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিক এদিন সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন। পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অন্যতম অভিযুক্ত দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মী সিন্ধু কয়ালকে অন্য বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কিন্তু আরেক অভিযুক্ত এবং পর্ষদের স্থায়ী কর্মচারী আব্দুল মুনিরই তাঁকে ফিরিয়ে আনার জন্য পর্ষদ সভাপতির দ্বারস্থ হয়। ব্যাঙ্কে টাকা পাঠাতে এবং অন্যান্য কাজে সমস্যা হচ্ছে বলে তাকে নগদ লেনদেন সেকশনে ফিরিয়ে আনে। সেটা থেকেই দু’জনের মধ্যে যোগসাজশের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। সেই সিন্ধু কয়াল যখন টাকা জমা দিয়ে ব্যাঙ্কের স্লিপ মুনিরকে দিতে চায়নি, তখনই নাকি সে পর্ষদের এক শীর্ষ আধিকারিককে জানায়। সিন্ধু দাবি করে, সে স্লিপ দিতে চাইলেও মুনির তা নেয়নি। তারপর খানচল্লিশেক স্লিপ সিন্ধুই এক শীর্ষ আধিকারিকের হাতে তুলে দেয়। দেখা যায়, একটি স্লিপে কাটাকুটি রয়েছে। তিন লক্ষ টাকা কেটে চার লক্ষ করা হয়েছে। হাজারের অঙ্কও পরিবর্তন করা হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় সিন্ধুকে সেই শীর্ষ আধিকারিক প্রশ্ন করেন, এরকম কাটাকুটি করা স্লিপকে ব্যাঙ্ক কি মান্যতা দেয়? সে তখন বলে, সেটা ব্যাঙ্কের ডিলিং ক্লার্ক বুঝবে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের লেনদেন মেলানোর কাজও চলছিল। তখনই বিরাট অঙ্কের গরমিল দেখা যায়। এরপরেই পুলিসে খবর দেওয়া হয় বলে আধিকারিকের দাবি। ২০১৬ থেকে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত গরমিলের অঙ্ক ২৬ লক্ষ টাকা পেরিয়েছে। এই কর্মীরা নগদ ব্যবস্থাপনার কাজে ২০১১ সাল থেকেই রয়েছে।